গত ৫ই জুন বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল বালির ক্যারাটে খেলোয়াড় পামেলা অধিকারীর দেহ। এদিকে তার হাতের তালুর দিকে নজর গিয়েছিল পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের। সেখানে লেখা ছিল ৬টি সংখ্যা। আসলে সেটা ছিল তার মোবাইলের পাসওয়ার্ড। সেই পাসওয়ার্ড দিয়েই খুলে ফেলা হয় পামেলার মোবাইল। এরপরই একে একে নানা তথ্য আসতে শুরু করে পুলিশের কাছে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে নানা ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবিও সে আদায় করা শুরু করে। এদিকে এরপরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। সে পামেলার আরও ছবি চাইতে শুরু করে। না দিলেই শুরু হয় নানা হুঁশিয়ারি।
পামেলার বাবা মাকেও সেই ছবি পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য সে হুঁশিয়ারি দিত বলে অভিযোগ। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে তীব্র টানাপোড়েন শুরু হয়। সানির ফোন ব্লক করেও রেহাই পায়নি পামেলা। অন্য নম্বর থেকে ফোন করে তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করা হত বলে অভিযোগ। এমনকী সানির স্ত্রীও বিষয়টি জানতে পেরে যান। একেবারে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কে মোড় নেয় গোটা বিষয়টি। এর সঙ্গেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার ব্যাপারে সানি হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এনিয়ে শুরু হয় নানা টানাপোড়েন। পুলিশের ধারনা মানসিক চাপ নিতে পারেনি পামেলা। তারপরই চরম পথ বেছে নেয় সে। তবে আপাতত সানি ওরফে শেখ তারুৎ পুলিশের জালে।