প্রিজন ভ্যান থেকে পালিয়ে গেল খুনের আসামী। শ্রীরামপুরের দাসপাড়ায় গৌতম দাস খুনের মূল অভিযুক্ত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাল। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। তখনই প্রিজন ভ্যান থেকে ঝাঁপ মেরে পালিয়ে যায় কৃষ্ণ সরকার। এই আসামী পুলিশের খাতায় সুপারি কিলার হিসেবে নথিভূক্ত রয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে শ্রীরামপুরে? এখানে সম্পত্তি হাতাতে সুপারি কিলার দিয়ে দাদা গৌতম দাসকে খুন করিয়ে দেয় ভাই উজ্জ্বল দাস। পুকুর থেকে সেই দেহ উদ্ধার হয়েছিল। খুনের বরাত দেওয়া হয়েছিল এই কৃষ্ণকে। তদন্তে নেমে সুপারি কিলার কৃষ্ণকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত গৌতম দাসের ভগ্নিপতি বিজয় মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়। আজ, সোমবার কৃষ্ণকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখনই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় সে।
এদিকে শুক্রবার গ্রেফতারের পর শনিবার সুপারি কিলার কৃষ্ণ এবং উজ্জ্বলকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেয় শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। আজ, সোমবার শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কৃষ্ণ সরকারকে। তখনই পালিয়ে যায় কৃষ্ণ। তার খোঁজে এখন তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সম্পত্তির হাতাতে দাদা গৌতমকে খুনের জন্য কৃষ্ণকে সুপারি দিয়েছিল ভাই উজ্জ্বল দাস।
অন্যদিকে শ্রীরামপুরের মাঠপাড়া এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুপারি কিলার কৃষ্ণকে। শনিবার তাকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেয় শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। জেরায় অনেক তথ্য দিলেও সে যে পালাবার ছক কষছে এটা বুঝতে পারেনি জেলা পুলিশ। পলাতক কৃষ্ণের খোঁজে এখন তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।