আরজি কর অবহের মধ্যেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সুপারের ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছার বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। জানা যাচ্ছে, সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়াঙ্কর রায় বেশ কয়েকবার ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরে। তবে তা গৃহীত হয়নি। অভিযোগ, চাপের কারণেই তিনি ইস্তফা দিতে চাইছেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কোন চাপে বা কাদের চাপে তিনি ইস্তফা দিতে চাইছে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রিয়ঙ্কর বাবু। তবে চিকিৎসক মহলে এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জ মেডিক্যালে জুনিয়র ছাত্রীদের র্যাগিং, অভিযোগ সিনিয়র ছাত্রদের বিরুদ্ধে
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে শাসানি দেওয়া এবং হুমকি দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তারপরেই রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষের ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছার বিষয়টি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, একবার নয়, বেশ কয়েকবার ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন তিনি। মেডিক্যাল কলেজের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতাল পরিচালনার ক্ষেত্রে চাপ দেওয়া হচ্ছিল প্রিয়ঙ্কর বাবুকে। এ বিষয়ে মেডিক্যালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের বাইরের কিছু চাপ যেমন ছিল তেমনই ভিতরেরও চাপ ছিল খুব বেশি। সেই কারণে তিনি ইস্তফা দিতে চাইছেন। যদিও সুপার জানান, তিনি নিয়ম এবং নির্দেশ মেনেই মেডিক্যালের কাজকর্ম এবং চিকিৎসা পরিষেবার কাজ পরিচালনা করে থাকেন।
অন্যদিকে, মেডিক্যালের অধ্যক্ষ কৌশিক সমাজদার জানিয়েছেন, সহকারী অধ্যক্ষ এমবিবিএস পড়ুয়াদের পড়াতে চাইছেন। সেই কারণে তিনি ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি তাঁকে সুপারের কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। এমনকী স্বাস্থ্য দফতর থেকেও এক আধিকারিক তাঁকে ফোন করে বুঝিয়ে সুপারের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার কথা বলেছেন।
এদিকে, মেডিক্যালের কর্মীদের একাংশ দাবি করছেন, যে হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা নেই। পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, এখনও বহু বিভাগ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে চালু হয়ে উঠতে পারেনি। এদিকে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রিয়ঙ্কর বাবুকে হাসপাতালের অন্দরে এবং বাইরে বিভিন্নরকমভাবে ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। এর আগে এক প্রভাবশালী তার রোগীদের ভর্তি করার জন্য সুপারকে চাপ দিয়েছিলেন। সেই সমস্ত কারণে তিনি পদত্যাগ করতে চাইছেন।