বহরমপুরে প্রেমিকাকে খুন করার পর কিছুক্ষণ সেখানেই ছিল সুশান্ত। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় তখনও কাতরাচ্ছেন তরুণী। সেই অবস্থাতেই লাথি মারছে সুশান্ত চৌধুরী। এরপর পালিয়ে যায় সে। এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। সামসেরগঞ্জের নাকা চেকিংয়ে একের পর এক গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। সূত্রের খবর একটি ম্যাটাডোর গাড়িতেও পুলিশ তল্লাশি চালায়। সেই সময় পুলিশ দেখে সকলেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
বেশিরভাগ ইদের জন্য বাড়ি ফিরছেন। শুধু এক যুবক বসে রয়েছে। একটু সন্দেহ হয়। তবুও হয়তো চোখ এড়িয়ে যেত পুলিশের। কী মনে হওয়াতে গাড়ি থেকে নামানো হয় তাকে। এরপরই দেখা যায় তার জুতোয় রক্তের দাগ। তবে ধরা পড়ে গিয়েছে বুঝতে পেরে আর বিশেষ কথা বাড়াতে চায়নি সুশান্ত। কিন্তু অদ্ভূত একটা নির্লিপ্ত ছিল সে। প্রেমিকাকে খুন করার কথাও মেনেও নেয় সে। আর তারপরই পুলিশকে পালটা প্রশ্ন তার।
সূত্রের খবর, ধরা পড়ার পরেই সে পুলিশকে প্রশ্ন করেছিল, সুতপা কি মারা গিয়েছে? আসলে তার প্রেমিকা মারা গিয়েছে কি না সেটা তখনও নিশ্চিত করতে চাইছিল সে। এদিকে পুলিশের একাংশের মতে, কোনও ঘটনা ঘটানোর আগে অপরাধীরা সাধারণত এলাকা রেইকি করে নেয়। আবার ঘটনা হয়ে যাওয়ার পরেও সেই এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি একবার দেখে আসার চেষ্টা করে একাধিক অপরাধী। এক্ষেত্রেও সে আদৌ সফল হয়েছে কি না সেটাই কি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছিল সুশান্ত? আর সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরেও ঠান্ডা গলায় তার উত্তর, ফেসবুকে তো বলে দিয়েছি।