নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল বহরমপুরের জেলা ও দায়রা আদালত। বহরমপুরের খুন হওয়া ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর বাবা স্বাধীন চৌধুরীকে আদালত চত্বরেই মারতে যেতে উদ্যত হল খুনে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। যদিও শেষমেশ পুলিশ সুশান্তকে আটকে দেয়। তবে অভিযুক্তের এরকম কীর্তিতে কার্যত হতবাক সকলে। গতকাল সুশান্তকে আদালত থেকে সংশোধনাগরে যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: Sutapa Murder Case: থাকতে হবে জেলেই, সুতপা হত্যাকাণ্ডে জামিন পেল না সুশান্ত
এদিন সাক্ষ্য পর্বের জন্য উভয় পক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিল আদালত। সে পর্ব মিটে যাওয়ার পরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সুশান্তর বিরুদ্ধে এ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন সুতপার বাবা। আদালতে এদিন উপস্থিত ছিলেন সুতপার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। বিচারককে তিনি জানান, সুতপার শরীরে ৪৫টি ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, যা অধিকাংশই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তৈরি হয়েছিল। সুশান্তর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ছুরি দিয়ে এই ধরনের ক্ষত তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। যদিও সুশান্তর আইনজীবীরা দাবি করেন, ওই ছুরি দিয়ে এরকম ক্ষত চিহ্ন হওয়া সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, সুতপার বাবার সঙ্গে সুশান্তর সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না। স্বাধীন চৌধুরী আগেই জানিয়েছিলেন, সুশান্তর আচরণ মোটেই ভালো ছিল না। তাই তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়েছিল সুতপা। যদিও সুতপার বাবার বক্তব্য ছিল, সুশান্তর সঙ্গে তার কখনওই দেখা হয়নি। অন্যদিকে, সুশান্তর দাবি ছিল সুতপার মা-বাবা তার উপর মানসিক নির্যাতন করত।