কেন্দ্রীয় সরকার একদিকে বলছে পাটের আমদানি–রফতানি বাড়াতে হবে। জিনিসপত্র কেনার সময় ক্রেতাকে দিতে হবে পাটের থলি। অন্যদিকে অন্য কিছু দিলে তাতে অবশ্যই জুটের ভাগ থাকতে হবে–সহ নানা নির্দেশ। অথচ বড়দিনের মুখে বন্ধ হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ের এম্পায়ার জুট মিল। সোমবার সকালে কর্তৃপক্ষ মিলের গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয়। যার জেরে প্রায় ২,০০০ শ্রমিক কর্মচ্যুত হয়ে পড়লেন।
লকডাউনের জেরে এমনিতেই মানুষের হাতে কাজ নেই। বেকারত্ব বেড়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। সেখানে একদিকে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে কাজ হারিয়ে মানুষ বেকার হয়েই চলেছেন। এভাবে কতদিন চলবে? তার উত্তর খুঁজছেন বিপদে পড়া মানুষ।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে শ্রমিকরা ঘণ্টাখানেকের জন্য বিটি রোড অবরোধ করেন। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। শ্রমিক বিক্ষোভকেই মিল বন্ধের জন্য দায়ী করেছে মালিকপক্ষ। শ্রমিকদের পালটা দাবি, ঠিকা শ্রমিক দিয়ে মিলের কাজ চালানো হচ্ছিল। তার প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা। এখানে অন্যায়টা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন।
আবার হুগলির ওয়েলিংটন জুট মিলে আজ কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছেন শ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, এক মৃত কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইয়িটি নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। তার জেরে এক ইউনিয়ন নেতাকে মিল থেকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদে আজ কাজে যোগ দেননি শ্রমিকরা। সূত্রের খবর, মালিকপক্ষ পালটা হুঁশিয়ারি দিছে, শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিলে মিল বন্ধ করে দেওয়া হবে।