শুভেন্দুকে ধরে রাখা গেল না। আজ বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন তিনি। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরে বেশ চাপে পড়ে গেল তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন ধরে রাখতে সাসপেন্ড হওয়া নেতাকে ফের ফিরিয়ে নিল তৃণমূল। কারণ জেলার সংগঠন ধরে রাখতে হবে।
এই সাসপেন্ড হওয়া নেতার নাম দিবাকর জানা। যিনি বিডিও’র সঙ্গে ঝামেলা থেকে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফ্লাইঅ্যাশ বিক্রির দুর্নীতিতে জড়িত। এমনকী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিককে মারধর–সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিবাকর জানা এবং তাঁর সঙ্গী শেখ সেলিমকে চার বছরের জন্য সাসপেন্ড করে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয়। কাঁথিতে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা তৃণমূলের দুই কো–অর্ডিনেটর অখিল গিরি এবং অর্ধেন্দু মাইতি।
উল্লেখ্য, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে দলের ব্লক সভাপতি এবং শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। একইসঙ্গে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক সংগঠনেরও দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু দিবাকরকে নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। পরে তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে দলে ফিরিয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব পরোক্ষে শুভেন্দুকে বার্তা দিতে চাইছে বলে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ মনে করছেন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। যাদের ক্ষমতা রয়েছে তারাই এসব কিছু করছে।’ অখিল গিরি বলেন, ‘দিবাকর এবং সেলিম দলের কাজ করতে চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছিল। দু’জনের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। এ কথা রাজ্য নেতৃত্ব আমাকে এবং জেলার আর এক কো-অর্ডিনেটর অর্ধেন্দু মাইতিকে সংবাদমাধ্যমের কাছে জানাতে বলেছিল।’
আর দিবাকর বলেন, ‘আইনি পরামর্শ নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাজকর্ম চালাচ্ছি। দলীয় নেতৃত্ব আমার উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নেওয়ার খবর শুনে আমি খুশি।’