একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। সেইমতো লোক জমায়েতের প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন ‘দাদার অনুগামীরা’। অবশেষে সেই কানাঘুষোয় সিলমোহর পড়ল। শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
আজ (শনিবার) দুপুর ২ টো ৩০ মিনিট থেকে মেদিনীপুরের কলেজ ময়দানে জনসভা করবেন শাহ। সেখান থেকেই শুভেন্দু সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগদান করবে বলে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতাও তেমনই দাবি করেছিলেন। তবে তা নিয়ে নিজে কোনও মন্তব্য করেননি শুভেন্দু।
শুক্রবার রাতের দিকে নিউজ ১৮-এ সাক্ষাৎকারে কৈলাস জানিয়েছেন, মেদিনীপুরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেবেন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য, জেলার ছোটো-বড়ো নেতা, বিধায়ক, সাংসদও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন। শুভেন্দুর সঙ্গে সবমিলিয়ে ৫০,০০০ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে দাবি করেছেন কৈলাস।
তবে শনিবার শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলেও সরকারিভাবে বিধায়ক হিসেবে তাঁর ইস্তফাপত্র এখনও গৃহীত হয়নি। শুক্রবার শুভেন্দুর ইস্তফাপত্রকে ‘বৈধ’ নয় বলে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সশরীরের স্পিকারের কাছে সেই ইস্তফাপত্র জমা দিতে হয় বিধায়কদের। সেইমতো আগামী সোমবার দুুপুর ২ টোর সময় শুভেন্দুকে সময় দিয়েছেন বলে জানান।
তা নিয়ে একটি অংশে আবার জলঘোলা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের একটি অংশের বক্তব্য, যে শুভেন্দু ‘নীতি’-র কথা বলেছিলেন, সেই ‘নীতি’ ভেঙেই বিজেপিতে যোগ দিতে হবে। কারণ সরকারিভাবে তো তিনি এখনও সরকারিভাবে তৃণমূল বিধায়ক। তাতে অবশ্য পাত্তা দিতে রাজি নন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠরা। তাঁদের বক্তব্য, শুভেন্দু বিধানসভায় নিজে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে এসেছিলেন। স্পিকার ছিলেন না বলে বাধ্য হয়ে স্পিকারের সচিবালয়ে সেই ইস্তফাপত্র জমা দেন। স্পিকারকে ইমেলও করেন। ফলে খাতায়কলমে ইস্তফা গৃহীত না হলেও আদতে ভবিষ্যৎ একেবারেই স্পষ্ট। তাছাড়া স্পিকারের নির্দেশ মতো আগামী সোমবার শুভেন্দু সশরীরের বিধানসভা গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করবেন বলে ওই অংশের তরফে দাবি করা হয়েছে। তাই ‘নীতি’ ভঙ্গের কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে সাফ জানিয়েছেন ‘দাদার অনুগামীরা’।