ব্যাঙ্ককে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। পরে সেই টাকা দিয়ে কেনা সোনা ভারতে আনা হয়েছিল। (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখিয়ে এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই অভিযানের প্রস্তুতিতে রবিবার উত্তরপাড়ায় আসেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। সঙ্গে ছিলেন পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ, ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা-সহ বিজেপি নেতারা। উত্তরপাড়া দোলতলার থেকে গৌরী সিনেমা পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। মিছিলের শেষে ভাষণের সময় অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী'কে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু।
সেখানেই একটি চেক (অতীতে শুভেন্দুর দেখানো একটি চেক তাঁর নয় বলে দাবি করেছিলেন রুজিরা) দেখিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, ব্যাঙ্ককে রুজিরার অ্যাকাউন্ট ছিল। পরবর্তীতে ব্যাঙ্ককে গিয়ে রুজিরা সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাঙ্ককে গিয়েছিলেন রুজিরা। সঙ্গে গিয়েছিলেন রুজিরার বোন মেনকা গম্ভীর। সেইসময় নিজের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন অভিষেকের স্ত্রী। সেই অ্যাকাউন্টের টাকা রুজিরার বোন মেনকা গম্ভীরের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রুজিরা নারুলা কে? পরিচয়টা ঘোষণা করুন, নয় মানহানির মামলা করুন, অভিষেককে শুভেন্দু
শুভেন্দুর দাবি, মেনকার অ্যাকাউন্টে যে টাকা সরানো হয়েছিল, তা দিয়েই আট ব্যাগ সোনা কেনা হয়েছিল। একটি ব্যাগ কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা হয়েছিল। বাকি ব্যাগগুলি বিধাননগর পুলিশ ছিনতাই করে নিয়ে চলে এসেছিল বলে দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু।
রুজিরার সোনা মামলা
২০১৯ সালের মার্চে রুজিরার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কক থেকে বিধি-বহির্ভূতভাবে সোনা আনার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে রুজিরাকে সমন পাঠিয়েছিল শুল্ক দফতর। সেই সমন অবশ্য খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় শুল্ক দফতর। তারইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। তৃণমূলের বর্তমান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককে আক্রমণ শানাতে থাকেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: গরুপাচারে ৫ ঘণ্টা ইডির জেরা সামলে ছেলেকে কোলে নিয়ে বেরোলেন রুজিরা
যদিও রুজিরা পালটা দাবি করেছিলেন, বিমানবন্দরে অবতরণের তাঁর থেকে ঘুষ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা দিতে না চাওয়ায় ব্যাগে তল্লাশি চালিয়েছিলেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। ব্যাগে আইন বহির্ভূত কোনও জিনিসপত্র মেলেনি। তা সত্ত্বেও তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছিলেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা। যিনি বিমানবন্দর থানায় শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন।