বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ভারতের বহু রাজনীতিবীদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বারবারই এ নিয়ে সরব হয়েছেন। এবার বাংলাতেও হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলনেন শুভেন্দু অধিকারী। গাড়িতে সনাতনী ভজন শোনার জন্য দু’জনকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিপুরের কাঁথি এলাকার। শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেছেন, বাংলার বুকেও আক্রান্ত হচ্ছে হিন্দুরা।
আরও পড়ুন: 'আমার লজ্জা লেগেছে...', ইসকনের রাধারমণ দাসকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর
শুভেন্দু দাবি করেছেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪-এর প্রতিবাদে কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় (কলকাতা-দিঘা রুটের বাস) একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সংখ্যালঘুদের তরফে এই সভা আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভাকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। তবে একটি গাড়ি সভাস্থলের মধ্য দিয়ে যেতেই ঘটে বিপত্তি। শুভেন্দু দাবি করেছেন, ওই গাড়িতে করে যাত্রীরা দিঘা থেকে ফিরে আসছিলেন। তবে গাড়িতে ভজন চলছিল সেই সময়। তখন ভজন শুনে উত্তেজিত হয়ে সভায় যোগ দেওয়া মানুষজন গাড়ির ওপর হামলা চালায়।
শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্কের প্রচুর মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিল। আক্রান্তদের একমাত্র দোষ ছিল যে তারা গাড়ির সনাতনী ভজন শুনছিলেন। তখন সভায় যোগ দেওয়া মানুষজন উত্তেজিত হয়ে গাড়িতে হামলা চালায়। তারা যে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল তা কল্পনা করা যায় না। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাদের নির্মমভাবে মারধর করা হয়। এদের মধ্যে দুজনকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
ঘটনায় শুভেন্দু যে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, একদল উত্তেজিত জনতা হকি স্টিক, লাঠি, ইট দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করছে। এমনকী গাড়ির জানালা দিয়ে যাত্রীদের মারধর করা হচ্ছে। তারা তখন সাহায্যের জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। আর কিছু মানুষ এগিয়ে এসে তাদের উত্তেজিত জনতাকে আটকানোর চেষ্টা করছে। শুভেন্দু রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে এবিষয়ে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি ডিজির উদ্দেশ্যে লিখেছেন, এই ভিডিয়োটি কিছু দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করার জন্য যথেষ্ট। তারা বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছে। ঘটনা জানার পরও পুলিশ কেন কাউকে গ্রেফতার করেনি? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি লিখেছেন, ‘বর্তমান রাজ্য সরকারের তোষণের রাজনীতির কারণেই স্বাধীনতা ও অধিকারের ক্রমাগত সংকীর্ণতাকে জনগণের বিবেচনায় আনা উচিত। এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে এবং দিন দিন বাড়ছে।’