আগামী ২৯ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ফের জগন্নাথ মন্দির তৈরিতে সরকারি অর্থ ব্যয় করা নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে, দিঘায় এক লক্ষ হিন্দুর সমাবেশ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পালটা শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। (আরও পড়ুন: ইউনুসে 'না' বাংলাদেশি সেনা প্রধান ওয়াকারের... বিস্ফোরক উপদেষ্টা আসিফ)
আরও পড়ুন:‘TMC চারবার আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছে।...’ শুভেন্দুর সঙ্গে কথার পরই বললেন বঙ্কিম!
শুক্রবার বীরভূমের রামপুরহাটে একটি সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই তিনি একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন। যার মধ্যে একটি ইস্যু হল দিঘায় জগন্নাথ মন্দির। অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে তুলনা টেনে শুভেন্দু শাসক দলকে নিশানা করে বলেন, অযোধ্যায় হিন্দুরা রাম মন্দির তৈরি করেছেন। কিন্তু, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হচ্ছে সরকারি টাকায়। জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টারকে ২০০ কোটি টাকা খরচ করে মন্দির বানানো হচ্ছে। এরপরে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যে এক লক্ষ হিন্দুর সমাবেশ করবেন দিঘায়। আর তারপরে জালি হিন্দুদের অস্তিত্ব ফাঁস করা হবে। (আরও পড়ুন: সকাল থেকেই কালো মেঘে ঢাকা আকাশ, ঝড়-বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি বাংলার কোথায়?)
আরও পড়ুন: এবার ইউনুসের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' মাহফুজ আলমের? বাংলাদেশি উপদেষ্টা বললেন...
এর পাশাপাশি বালি পাচার নিয়েও শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও নদীর অস্তিত্ব রাখেননি। সব নদী থেকে বালি তোলার ফলে নদীগুলি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। অবৈধভাবে পাথর, কয়লা, বালির কারবার চলছে। এক্ষেত্রে ১০০ টাকা উঠলে ৭৫ টাকা পেয়ে যান ভাইপো। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ভোটের কথা ভেবে শুভেন্দু দিশাহারা হয়ে পড়ছেন। নিজেই মুখে হিন্দু হিন্দু করছেন আর মন্দিরে আপত্তি জানাচ্ছেন। (আরও পড়ুন: ১৮ ঘণ্টা পর হিথরো বিমানবন্দরে চালু উড়ান পরিষেবা, লন্ডনে কখন যাচ্ছেন মমতা?)
প্রসঙ্গত, বীরভূমের তারাপীঠ মহাশ্মশানে নির্মাণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শুভেন্দু রামপুরহাটে বিজেপির বিক্ষোভে যোগ দেন। সেখানে এসডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির নেতা কর্মীরা। এছাড়াও, দোল উৎসবের দিনে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অপরগোষ্ঠীর সংঘর্ষে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থক আহত হন। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যের শুভেন্দু। পরে রামপুরহাট এসডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। এদিন বিরোধী দলনেতা দেউচা পাঁচামি নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন। একইসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, অনুব্রত মণ্ডল আবারও জেলে যাবেন।