ঝাড়গ্রামের নেতাই থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার লালগড় থেকে নেতাই পর্যন্ত শুভেন্দুবাবুর নেতৃত্বে পদযাত্রা করে বিজেপি।
এদিন অমর্ত্য সেনের উদ্দেশে বিজেপির আক্রমণের বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েক মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘যিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন কিম্ভূত কিমাকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন হোদল কুৎকুৎ। যিনি নড্ডাজিকে বলেন চাড্ডা, আড্ডা, নাড্ডা, গাড্ডা। তার মুখে এসব কথা শোভা পায় না। একটা অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী, যার মুখে সব সময় অসংসদীয় কথা। অশালীন কথায় যিনি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় বিচারপতি সমাজ সংস্কারের কাজ করছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়েও তিনি যে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন, দুর্নীতির একেবারে মূল উপড়ে ফেলতে চাইছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি’।
অমর্ত্য সেনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আজ অমর্ত্য সেন এর সাথে দেখা করেছেন, কালই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন। শপথ বাক্য পাঠ করাবেন অমর্ত্য সেন। আমি শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জি, আমি শপথ নিচ্ছি যে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করিলাম। শপথ গ্রহণ করিতেছি যে চুরি ছাড়া অন্য কোন কাজ করিব না।’
এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে হাজির ছিলেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন নিজের উত্তরীয় খুলে তা দিয়ে নেতাইয়ের ‘শহিদ বেদী’ পরিষ্কার করতে দেখা যায় শুভেন্দুবাবুকে। তার পর মাল্যদান করেন তিনি। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু।