বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Suvendu Adhikari: ‘‌এবার পিসি–ভাইপোকে গ্যারেজ করব’‌, নন্দীগ্রাম দিবসে সুর সপ্তমে শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: ‘‌এবার পিসি–ভাইপোকে গ্যারেজ করব’‌, নন্দীগ্রাম দিবসে সুর সপ্তমে শুভেন্দুর

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আজ ১৪ মার্চ ‘‌নন্দীগ্রাম দিবস’‌। ২০০৭ সালে জমিরক্ষার আন্দোলনে অংশ নিয়ে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় পুলিশের গুলিতে ১৪ জন কৃষক নিহত হয়েছিলেন। সেই দিনটির স্মরণে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি পৃথকভাবে গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

আজ নন্দীগ্রাম দিবস। তাই অধিকারী পাড়ায় একদিকে কীর্তন এবং অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা দেখা গেল। তারই মাঝে শহিদ দিবস পালন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে গিয়ে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার জবাব দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ফলে নন্দীগ্রাম দিবসে তপ্ত হয়ে উঠল রাজনৈতিক তরজা।

ঠিক কী দেখা গেল নন্দীগ্রামে?‌ আজ ১৪ মার্চ ‘‌নন্দীগ্রাম দিবস’‌। ২০০৭ সালে জমি রক্ষার আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় পুলিশের গুলিতে ১৪ জন কৃষক নিহত হয়েছিলেন। সেই দিনটির স্মরণে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি পৃথকভাবে গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আজ সকালে বিজেপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনের শহিদ সমাবেশ থেকে আক্রমণাত্মক হন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যিনি শুভেন্দুকে কড়া জবাব দিয়েছেন।

ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু?‌ এদিন এখান থেকে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর হুঙ্কার, ‘‌সিপিএমকে সাফ করেছি। ২০২৪ সালের নন্দীগ্রাম দিবসের আগে পিসি–ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেব। নন্দীগ্রামের আন্দোলন কোনও নির্দিষ্ট নেতানেত্রীর আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলন ছিল জনগণের। তৃণমূল এই এলাকা, শহিদ দিবস দখল করার চেষ্টা করেছিল। এখানে সবার অধিকার আছে। সব রাজনৈতিক দলের আছে। সব মানুষের আছে। মানুষ খেতে পায় না, চাকরি পায় না। এই গ্রামের ১০০ ছেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কর্ণাটকে, গুজরাতে গিয়ে, না খেয়ে ফ্লাইওভারের নীচে রাত কাটায়। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র ধ্বংস। আগামী বছর দেখা হবে, ভাইপো বাইরে থাকবে নাকি ভিতরে থাকবে?’‌

ঠিক কী বলছেন রাজ্যের মন্ত্রী?‌ শুভেন্দু এই হুঁশিয়ারির জবাব দিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথেই তাঁর জবাব দিয়ে গেলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পালটা জবাবে তিনি বলেন, ‘‌যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা নিজেরা কবে গ্যারেজ হয়ে যাবেন, জানেন না। আর শহিদ দিবসে ‘গ্যারেজ’ করে দেওয়ার কথা যাঁরা বলতে পারে, তাঁরা শহিদদের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল, তা বোঝাই যাচ্ছে।’‌

বন্ধ করুন