এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে আইনি নোটিশ পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নলহাটির সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য নিয়ে মানহানির মামলার নোটিশ পাঠালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে কুণাল ঘোষকে। গত মঙ্গলবার নলহাটির স্কুল মাঠে সভা করেন কুণাল ঘোষ। সেদিন মঞ্চ থেকে একটি অডিয়ো ক্লিপ শোনান কুণাল ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের অডিয়ো টেপ শোনান। আর কর্মীদের সামনে কুণাল প্রশ্ন করেন, ‘কে গদ্দার?’
কেন নোটিশ পাঠালেন শুভেন্দু? অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় আসার সময় রাস্তায় শুভেন্দু নাকি গুড় বাতাসা, নকুলদানা দেখতে পাননি বলে কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন। তাই কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনও পাতলা গুড় বা ঝোলা গুড় নয়, একেবারে পাটালি, মোটা দেখে পাটালি তুলে রাখবেন।’ কুণালের ওই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তারপর এবার নোটিশ পাঠালেন শুভেন্দু।
আর কী বলেছিলেন কুণাল? সেদিন মঞ্চ থেকে কুণাল ঘোষ সরাসরি কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। আর বলেছিলেন, ‘বিজেপির ট্রেনি রাজ্য সভাপতি একটা লাউ–ডগাকে কেউটে বলে বাজারে ছাড়তে চাইছেন। জেলা থেকে বিজেপিকে হারিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের জবাব দিতে হবে।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে এই কথা বলেছিলেন তিনি।
কীসের প্রেক্ষিতে আইনি নোটিশ? কুণাল ঘোষ সেদিন অনুব্রত মণ্ডলকে একটা সুদক্ষ সাংগঠনিক নেতা বলে সম্বোধন করেন। আর তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে পঞ্চায়েত পার করতে চাইছে বিজেপি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।। সেটা যাতে করতে না পারে বিজেপি তার জন্য দলীয় কর্মীদের সচেতন থাকতে বলেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। আর বিজেপিকে লোকসভায় ক্ষমতাচ্যুত করার ডাক দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাঘকে খাঁচায় রেখে দুটো শিয়ালকে পাঠিয়েছে এখানে।’ এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় আর তারপরই শুভেন্দু অধিকারী মানহানির নোটিশ দেন।