ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ব্যারাকপুরে অর্জুনের বাড়িতে প্রায় ১ ঘণ্টা দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠককে পূর্ব পরিকল্পিত বলা হলেও দুই নেতাই এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে রাজি হননি। যদিও তাঁদের মধ্যে এই একান্ত বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, 'সব কথা সংবাদমাধ্যমের জন্য নয়।'
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর দুই নেতার তরফে দাবি করা হয়েছে, বিজেপির অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক বিষয় ও দলের সার্বিক উন্নয়ন সংক্রান্ত পরিকল্পনাই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু ঠিক কোন বিষয়ে কথা হয়েছে, তা কিন্তু স্পষ্ট হয়নি। সম্প্রতি ভাটপাড়া পুরসভায় প্রশাসক হিসাবে পদত্যাগ করেছেন অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অরুণের এই পদত্যাগ শাসক দলকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। আর এই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ভাটপাড়ায় বিজেপি কীভাবে আগামীদিনে তার রাজনৈতিক কর্মসূচি সাজাবে, তা নিয়েই দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসায় তৃণমূলের কিছু নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই নামগুলির মধ্যে একদিকে যেমন নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের নাম উঠে এসেছে, তেমনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামও উঠে এসেছে। তবে যে ভাটপাড়া গুলি কাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম উঠে এসেছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ব্যারাকপুরের সাংসদ ও সমাজবিরোধীদের কারণেই উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ভাটপাড়ায়। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে ভোট মামলায় আদালতের তরফে নির্বাচনের সব নথি সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি এই মামলায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শুভেন্দু এই মামলার শুনানি অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেছেন। কিছুটা হলেও শুভেন্দুও চাপে আছেন বলে রাজনৈতিক মহলের মত। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল ত্যাগী দুই পোড়খাওয়া বিজেপি নেতার একান্ত বৈঠক রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।