বুধবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিধানসভা থেকে সরাসরি বর্ধমানের কাঁকসায় পারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে অংশ নেন পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল নেতা দীপ্তাংশু চৌধুরী ও শাসকদেলর আর এক ‘বেসুরো’ তৃণমূল নেতা তথা আসানসোলের বিদায়ী মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
সূত্রের খবর, সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এই বৈঠকে শুভেন্দু পরিষ্কার জানিয়েছেন, ১৯ ডিসেম্বর, শনিবারই বিজেপি–তে যোগ দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে যোগ দেবেন বেশ কয়েকজন বিধায়ক। তবে তাঁর দিল্লি যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে এদিনের বৈঠকে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়–সহ দুই বর্ধমানের একাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে চলে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, আগামী ১৯ তারিখ মেদিনীপুরে কলেজ ময়দানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহয়ের সভায় বিজেপি–তে যোগ দেবেন তিনি। এই যোগদানে তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন বিধায়ক উপস্থিত থাকবেন। এই সভার পর থেকেই শুভেন্দু রাজ্যজুড়ে জেলা সফরে বেরিয়ে পড়বেন বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে শুভেন্দু বৈঠকে জানিয়েছেন, এর পর ধাপে ধাপে শাসকদলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদ তাঁর সঙ্গে যোগ দেবেন পদ্ম শিবিরে।
এদিন বৈঠক শেষে বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সুনীল মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে তাই আমরা আজ বিদ্রোহের কথা বলেছি। আমাদের প্রশ্ন, এত কিছুর পরও কেন দল সংশোধন হচ্ছে না? এই একটাই ক্ষোভ সবার মধ্যে দেখা যাচ্ছে। সবারই ক্ষোভ প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে।’
তৃণমূলের ভোট কুশলী পিকে ও তাঁর সংস্থার কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানিয়ে সুনীল মণ্ডল এদিন বলেন, ‘আইপ্যাকের লোকজন এসে বলছে এই করুন, সেই করুন, মিছিল করুন। কোন জামা পরে আসব সেটাও বলে দিচ্ছে ওরা। আইপ্যাক যখন এত সব করছে তখন রাজনীতিতে আমাদের কী মূল্য রইল? সবাই এদিন সেই ক্ষোভের কথাই জানিয়েছেন।’ যদিও বৈঠক শেষে এদিন আসানসোলের পুর প্রশাসন জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আছি। তৃণমূলে দিদি ছাড়া অন্য কাউকে নেতা মানব না।’