তাঁর ভ্রাতৃবধূকে তৃণমূলকে ভোটদানের জন্য প্রভাবিত করতে কুণাল ঘোষের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার ফের নিউটনের গতিসূত্র মনে করালেন তিনি। বললেন, সমস্ত ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আছে। সঙ্গে তৃণমূলের পালটা পরিবারকে নিয়ে টানাটানির অভিযোগ তুললেন তিনি।
রবিবার সকালে নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে চা-চক্রে যোগদান করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সংগঠনের স্বাস্থ্যোদ্ধারের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। সেখানেই তিনি তৃণমূলের বঙ্গজননী বাহিনীকে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন। বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি যান মহিলাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প সম্পর্কে বোঝান। বিশেষ করে বিরোধীদের বাড়ি থেকে মহিলা ভোট বার করে আনতে হবে। শুরু করুন দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রীকে দিয়ে। প্রথমে হয়তো দেখা করতে চাইবে না। কিন্তু বারবার অনুরোধ করলে ফেলতেও পারবে না।’
কুণালের পালটা শুভেন্দু বলেন, ‘আমার বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা - মা থাকেন। তাই আমার বাড়িকেই ওরা টার্গেট করেছে। আমাকে তো কিছু করতে পারে না। যার যেমন সংস্কৃতি তেমনই করবে। গত দেড় বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টার্গেট আমার হোমটাউন।’
তিনি বলেন, ‘আমার কলকাতায় থাকার জায়গা আছে। সেখানেই বেশিরভাগ দিন থাকি। বাড়িতে থাকেন বৃদ্ধ মা - বাবা, ভাইপো - ভাইঝিরা। তাদের যারা আক্রমণ করেন তাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি বাংলার মানুষ বুঝবেন।’
বলে রাখি, এখনো তৃণমূলেরই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। শনিবারও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমাদের পরিষদীয় দলনেতা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বাড়িতে চা খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর স্ত্রীকে হঠাৎ কুণাল প্রকাশ্যে বিরোধী ঠাউরালেন কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।