পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ে জাতীয় স্তরে আন্দোলন করার ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। তৃণমূলও জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা খুঁজতে হাতিয়ার করতে চেয়েছিল এই ইস্যুটিকে। তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের একপ্রকার হাতিয়ার ছিনিয়ে নিয়ে দেশকে দীপাবলির উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একধাক্কায় পেট্রোলে লিটার প্রতি ৫ টাকা ও ডিজেলে লিটার প্রতি ১০ টাকা করে শুল্ক কমাল কেন্দ্র। আর কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এবার রাজ্যের কোর্টে বল ঠেললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে টুইট করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
কেন্দ্রের শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তের পরই শুভেন্দু টুইট করে লেখেন, 'পেট্রোলের উপর থেকে ৫ এবং ডিজেলের উপর থেকে ১০ টাকা শুল্ক কমানোর ভারত সরকারের সিদ্ধান্তকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি দেশকে এটা দীপাবলি উপহার দিলেন। এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত এই পথ অনুসরণ করা এবং দাম আরও কমিয়ে আনতে শুল্ক কমানো।'
গত কয়েকদিনে লাগাতার পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে। এই রাজ্যে পেট্রলের দাম একশো পেরিয়ে গিয়েছে অনেকদিন আগে। ডিজেলের দামও পার করেছে ১০০-র গণ্ডি। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল। আর সেই অস্ত্রে শান দিয়ে বারংবার কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে বিজেপি শাসিত অসম ও ত্রিপুরা ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে গতরাতেই। এরপর বিজেপির তরফে বিরোধীদের উপর পালটা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল অবলম্বন করা হয়।
এই বিষয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের ইন চার্জ অমিত মালব্য টুইট করে লেখেন, 'এখন ভারত সরকার পেট্রল- ডিজেলের উপর থেকে শুল্ক কাটছাঁট করে দিয়েছে। এবার বিরোধীদের ক্ষমতায় থাকা রাজ্যগুলি কি ভ্যাট কমিয়ে নেবে?' তিনি আরও লেখেন, 'দিল্লিতে পেট্রলের উপর ৩০ শতাংশ ভ্যাট, মুম্বইতে ২৬ শতাংশ ও তার সঙ্গে অতিরিক্ত প্রতি লিটারে ১০.১২ টাকা, কলকাতায় ২৫ শতাংশ অথবা ১৩.১২ টাকা লিটার পিছু যেটা বেশি হবে সেটাই প্রযোজ্য, হায়দরাবাদে ৩৫.২০ শতাংশ ও কংগ্রেস পরিচালিত রাজস্থানে ৩৬ শতাংশ।'