গত রবিবার বেহালায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সংস্থা ব্যবহার করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। এমন কী কথায় কথায় বলেছিলেন, ‘কাল যদি আমার বাড়িতে যায় আপনারা কী করবেন? রাস্তায় নামবেন তো? গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করবেন তো?’ এই আবহে এবার পালটা আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের বক্তব্য, ‘সেদিন ঘনিয়ে আসছে, যেদিন কেউ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনে থাকবে না।’ (আরও পড়ুন: বাড়িতে সর্বোচ্চ কত টাকা নগদ রাখা যায়? কী বলছে আয়কর দফতরের নিয়ম)
শুভেন্দু সোমবার উলুবেড়িয়ায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘অপা সিন্ডিকেট ধরা পড়েছে। কেষ্ট গেছে, ভাইপোর সময় আসছে। প্রস্তুতি নিন, তৈরি হোন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিছন ঘুরে দেখবেন, ববি, অরূপও থাকবে না। তাঁর পিছনে কেউ থাকবে না। সেই দিনটা আসছে।’ এদিন ফের একবার শুভেন্দু দাবি করেন যে ২০২৪ সালে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যে। তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘জোট বাঁধুন, তৈরি হোন। সামনের দিন জোর লড়াই। ২৪-এ একসঙ্গে ভোট। রাষ্ট্রবাদী সরকার তৈরি হবে। তখন আর তেরঙ্গা যাত্রার জন্য পুলিশের অনুমতি লাগবে না।’
আরও পড়ুন: ফের রিপিট নয় পাগড়ি, ফিরে দেখা বিগত নয় বছরে প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতা দিবসের লুকস
এদিকে সোমবার অনুব্রতর গুণগান গেয়ে মমতা বলেছিলেন যে তিনি কিছুই চান না। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ‘আমি একদিন কেষ্টকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুই তো কিছুই চাস না। ওকে এমএলএ হতে বলুন, হবে না। ওকে এমপি হতে বলুন হবে না। আমি ওকে অনেকবার বলেছি, রাজ্যসভায় যা।’ মমতার এই মন্তব্যের জবাবে পালটা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে শুভেন্দু সোমবার বলেন, ‘কেষ্টকে রাজ্যসভাতে পাঠাতে চাইলাম, গেল না। যাবে কী করে? কেষ্ট তো নাম লিখতেও জানে না, পড়তেও জানে না। আর এটা স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য? প্রধানমন্ত্রীকে তুই বলছে। তারপর আমাকে নিয়ে যা বলেছে, তার উত্তর আমি ঠিক সময়ে সুদ আসলে দিয়ে দেব।’