ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাতিল হয়েছে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান। আগামী ১১ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল এই অনুষ্ঠানের। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। ছাত্র আন্দোলনের কারণে সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই আবহে তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, পৌষমেলার দাবিতে উপাচার্যর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়ারা। এই পড়ুয়াদের এবার ‘তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী’ বলে আখ্যা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় দু' সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন একদল পড়ুয়া। এই নিয়ে টুইট করে শুভেন্দু লেখেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক! উপাচার্যকে জোর করে ১৫ দিনের জন্য তাঁর বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এর ফলেই বাতিল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসব। অনুষ্ঠান হলে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যের জন্য দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারতেন।’
শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘২৪ নভেম্বর থেকে উপাচার্যের বাড়ির বাইরে যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা তৃণমূলের গুন্ডাদের দ্বারা সমর্থিত৷ বাংলার পুলিশের অসহযোগিতার জন্য ক্যাম্পাসে কখনও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরবে না। পশ্চিমবঙ্গের মর্যাদা মাটিতে মিশে গিয়েছে। কলঙ্কিত হয়েছে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য।’ এদিকে সমাবর্তন বাতিল নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বক্তব্য, রাজ্য প্রশাসন কোনও সাহায্য করছে না। উপাচার্যের অভিযোগ, তিনি ১৭ দিন ধরে বন্দি। তাঁকে মারা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, এই আবহে কীভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে? যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা পুলিস সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠির দাবি, সবকরম সাহায্য করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তিনজন পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে বলেও জানান তিনি। যদিও তাঁর কথায়, ছাত্র আন্দোলন বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাতে হস্তক্ষেপ করবে না পুলিশ।