সীমান্তবর্তী এলাকায় হিন্দুদের আত্মরক্ষার জন্যে তাঁদের বাড়িতে অস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি ওয়াকফ হিংসায় সীমান্তবর্তী জেলা মুর্শিদাবাদের বহু জায়গায় ঘরছাড়া হয়েছে কয়েকশো পরিবার। এই আবহে শুভেন্দুর বক্তব্য, কাশ্মীর মডেল অনুসরণে অস্ত্র রাখতে দেওয়া উচিত মুর্শিদাবাদের মতো সীমান্তবর্তী এলাকার হিন্দুদের। তাঁর যুক্তি, আত্মরক্ষার অধিকার প্রত্যেকের আছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই সব এলাকার হিন্দুরা আত্মরক্ষা না করতে পারলে সেখানে তাদের জনসংখ্যা কমে যাবে। (আরও পড়ুন: আছে ২৫ বছর বয়সি এক ছেলে, কে দিলীপ ঘোষের এই হবু স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার?)
আরও পড়ুন: কর্মফল ভোগ করছে বাংলাদেশ? পড়শি দেশকে দেওয়া 'শাস্তি' নিয়ে অকপট ভারত
নন্দীগ্রামের বিধায়ক এই নিয়ে বলেন, 'বিএসএফ-সিআরপিএফ সব সময় থাকে না। বাংলাদেশ থেকে যে সব এলাকা ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে, এবং যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা ২০ শতাংশের কম, তাঁদের বৈধ লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া উচিত। কারণ, আত্মরক্ষার অধিকার প্রত্যেকের আছে। কাশ্মীরের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাতে এটা হয়। কাশ্মীরের মতো একই মডেল মুর্শিদাবাদে না করতে পারলে ১০-১৫ শতাংশ হিন্দু যেখানে আছে তা থাকবে না।' (আরও পড়ুন: এপারের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ঢাকার 'উদ্বেগের' আবহে ওয়াকফ নিয়ে কী বলল ভারত?)
আরও পড়ুন: কর্মফল ভোগ করছে বাংলাদেশ? পড়শি দেশকে দেওয়া 'শাস্তি' নিয়ে অকপট ভারত
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। এই আবহে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলে তা না নেওয়ার ঘোষণা করেন নিহতের পরিবার। এদিকে এলাকায় শানতি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ। (আরও পড়ুন: ১৪টি জঙ্গি হামলায় অভিযুক্ত খলিস্তানি গ্রেফতার আমেরিকায়, ভারতের মুখে ফুটল হাসি)
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলেও লুটপাট চালানো হয়েছিল। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এছাড়া জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।