হাওড়ার ডোমজুড়ে এক মহিলা সহ চুল কেটে দিয়ে মারধর করা হল ৩ জনকে। চোর সন্দেহে এই তিনজনের বিরুদ্ধে এই বর্বরতা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনারই ভিডিয়ো পোস্ট করে এবার সরকারকে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করে তাদের আদালতে পেশ করে হাওড়া পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও আছেন। (আরও পড়ুন: রক্তে ভাসছে বাংলাদেশ, কোটা-বিরোধী আন্দোলনে মৃত অন্তত ৩২, রাতে বন্ধ ইন্টারনেট)
আরও পড়ুন: আমেরিকাগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বিপত্তি মাঝ আকাশে,২২৫ যাত্রী নিয়ে অবতরণ রাশিয়ায়
এদিকে এই ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, 'বাংলায় মহিলাদের বিরুদ্ধে মধ্যযুগীয় বর্বরতার আরও একটি পর্ব সামনে এসেছে। লজ্জা লজ্জা লজ্জা। এবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ে। আর ডোমজুড় তো কোনও প্রত্যন্ত এলাকা নয়। এটা হাওড়া সিটি পুলিশের এলাকা। কোচবিহার থেকে আড়িয়াদহ, আর এখন ডোমজুড়, এই ধরনের ঘটনা জারি রয়েছে। গতকাল কাঁচি দিয়ে এক মহিলার চুল কেটে ফেলা হয়েছে নির্দয় ভাবে। এটাই নাকি সাজা। এই ঘটনায় অভিযুক্তরা হল - ইশা লস্কর, আবুল হোসেন লস্কর, সায়েম লস্কর, মকবুল আলি, ইসরায়েল লস্কর, আরবাজ লস্কর, মেহবুলল্লা মিদ্দে। এরা সবাই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। এই সব ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা এতই এয়ারটাইট যে দিকে দিকে ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসছে এবং নিমেষে বিচার রা হচ্ছে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে।'
রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়ার ডোমজুড় থানার অন্তর্গত কোরোলা এলাকায় চুরির অভিযোগে একই পরিবারের তিন জনকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় কাচি দিয়ে এক মহিলার চুল কেটে দিতেও দেখা যায়। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। আর সেই ভিডিয়োই পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। অবশ্য ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পাশাপাশি তিনজন বসে আছেন। বড় একটি কাঁচি দিয়ে তাঁদের চুল কাটা হচ্ছে। এর মধ্যে একজন মহিলারও চুল কাটা হচ্ছে। অভিযোগ, যে মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়েছে, তাঁদের মেয়ে ডোমজুড়ের উত্তর কলোড়া এলাকায় কাজ করতেন। পেশায় ব্যবসায়ী ইশা লস্কর, আবুল হোসেন লস্কর, সায়েম লস্করের বাড়িতে নাকি কাজ করত সেই মেয়ে। প্রায় এক মাস আগে সেই তরুণী নিজের প্রেমিককে বিয়ে করে পালিয়ে যান। আর সেই সময়ই ইশা-সায়েমদের বাড়ি থেকে নাকি ২০ লাখ টাকা গায়েব হয়ে যায়। এই আবহে সেই তরুণীর বাবা, মা এবং ভাইকে আটকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামছাড়া করা হয় এই তিনজনকেই।