মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে ফুটতে চলেছে পদ্মফুল। শুক্রবারই খেটে গেল ভবিষ্যদ্বাণী। কাঁথির শান্তিকুঞ্জে ফুটল দ্বিতীয় পদ্ম। বিজেপিতে যোগদান করলেন শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার।
শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। শুভেন্দুর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী দীর্ঘদিন গৃহবন্দি। শুভেন্দুর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু জানিয়েছেন তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। এরই মধ্যে সৌমেন্দুর অপসারণের পর বৃহস্পতিবার তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনার খবর ছড়ায়। শুক্রবার সকালে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করেন শুভেন্দু।
রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার মতো কাঁথিতেও পুর বোর্ডের মেয়াদ ফুরানোর পর বসেছে প্রশাসক। এদিন সৌমেন্দুবাবুর সঙ্গে পুরসভার ১৫ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। যার মধ্যে ১৩ জন সশরীরে হাজির ছিলেন মঞ্চে। এর ফলে ২১ আসনের কাঁথি পুরসভার বোর্ডের বৈধতা থাকলে তার দখল নিত বিজেপি।
এদিনের যোগদান মেলা উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছিল ২টি মঞ্চ। একটিতে বসেছিলেন বিজেপি নেতারা। অন্যটিতে যোগদানকারীরা। দাদা শুভেন্দু পৌঁছনোর অনেক আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন সৌমেন্দুবাবু। শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণ শেষে তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন জেলা বিজেপি সভাপতি।
এদিনের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে তুমুল আক্রমণ করেন শুভেন্দু। বলেন, এরা ভোট করাতে ভয় পায়। কারণ জানে যে ভোট করলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো অবস্থা হবে।