শুভেন্দু অধিকারীকে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় যেতে বরণ করল কাঁথি থানার পুলিশ। আর এর প্রেক্ষিতেই বিরোধী দলনেতার পাল্টা চ্যালেঞ্জ, সোমবার উচ্চ আদালতে যাবেন তিনি। উল্লেখ্য, আজকে ময়নার বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অশোক দিন্দার বাড়িতে যাওয়ার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। সেখান থেকে কলকাতায় যাওয়ার কথা শুভেন্দু। কলকাতায় যাওয়ার সময় হাওড়ার উপর দিয়ে যাওয়ার কথা শুভেন্দুর। এই আবহে তিনি হাওড়ায় হিংসা কবলিত এলাকায় গিয়ে বিজেপি পার্টি অফিস পরিদর্শন করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
এই আবহে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য ছিল পার্টি অফিসে গিয়ে ক্ষয়, ক্ষতি খতিয়ে দেখব। চারজন নিয়ে যাব। আমি বিরোধী দলনেতা, আমারক অধিকার আছে। আমি একা যাব। ১৪৪ ধারা ভাঙব কেন?’ এদিকে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘আমাকে আটকালে তো পুলিশের সঙ্গে মারপিট করব না। আজ রবিবার, উপায় নেই, তাই আগামিকাল উচ্চ আদালতে যাব।’ এদিকে শুভেন্দুকে হাওড়ায় না যেতে দেওয়ায় মমতা সরকারকে তোপ দেগে টুইট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।
এদিকে শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশ মন্ত্রীর এত অহংকার কেন? সেনা চাক। এর আগে রিজওয়ান মৃত্যুর পর একই ভাবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট অবরোধ করা হয়েছিল। তখন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আধ ঘণ্টার মধ্যে সেনা নামিয়ে দিয়েছিল।’
উল্লেখ্য, গতকাল হাওড়ার হিংসা কবলিত পাঁচলায় গিয়েছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। নির্বিঘ্নেই এলাকা পরিদর্শন করে চলে আসেন দিলীপ ঘোষ। তবে এরপর ফের হিংসা ছড়িয়ে পড়ে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায়। উলুবেড়িয়া সাবজিভিশনে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। সেখানে যেতে চেয়েও ‘গ্রেফতার’ হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই আবহে আজকে হাওড়ায় যাওয়ার কথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এই কারণে শুভেন্দুকে হাওড়ায় না যাওয়ার ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।