বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত চিনি; অটলজি না থাকলে আজকের মমতা হত না: শুভেন্দু

পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত চিনি; অটলজি না থাকলে আজকের মমতা হত না: শুভেন্দু

শুভেন্দু অধিকারী 

কাঁথির এক জনসভা থেকে শুভেন্দু দাবি করলেন, তিনি নাকি বিধানসভাতে ঢুকলেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

একসময় তিনি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। নন্দীগ্রাম আন্দোলন হোক বা পরবর্তীতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব, শুভেন্দু অধিকারীতে আস্থা ছিল মমতার। তবে সময় বদলেছে। গত একবছরের কিছু বেশি সময় ধরে মমতার বিপরীত মেরুতে অবস্থান শুভেন্দুর। দল বদলে শুভেন্দু এখন বিজেপির। বিধানসভায় মমতার বিপরীতে বিরোধী দলনেতা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। আর একসময়কার ‘শ্রদ্ধেও নেত্রী’কে তাই আক্রমণের কোনও সুযোগই হাতছাড়া করেন না শুভেন্দু। এহেন শুভেন্দুই বড়দিনে কাঁথির এক জনসভা থেকে দাবি করলেন, তিনি নাকি বিধানসভাতে ঢুকলেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

শুভেন্দু অধিকারী এদিন কাঁথিতে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, ছাপ্পা ভোটের দৌলতেই ভবানীপুরে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘এককালে যেই পুলিশ নন্দীগ্রামে আমার দিকে বন্দুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত, পরে তারাই আমাকে স্যালুট দিত। আমি তৃণমূলের পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত জানি। অটলজি না থাকলে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হত না।’ মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু শনিবার বলেন, ‘মানুষ যদি ছিন্নমূল পার্টিকে চায়, তাহলে আমার আপত্তি নেই। তবে যদি দেবীদুর্গাকে অর্পণ করা পদ্ম ফুলকে চাইলে আমি সাথে আছি।’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘আমি লক্ষ্মণ শেঠ, কিষেণজিকে হারানো লোক, আমি বড় বড় গুন্ডা… আর এদের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি। আপনারা যেগুলো করছেন, সেই সব জিনিস কখনও এখানে বামফ্রন্ট করেনি। সিপিএম করেনি।’

শুভেন্দু এবার দাবি করেন, তিনি বিধানসভাতে ঢুকলেই নাকি মমতা সেখান থেকে পালান। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘দেখেন না আমি বিধানসভায় ঢুকলেই মুখ্যমন্ত্রী পালায়। বিরোধী দলনেতার কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এবং সেই কাজ রাজ্য জুড়ে। আমি একবার জিতেই বিরোধী দলনেতা। আর এই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কম্পার্টমেন্টাল। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে দুইবার ভোটে লড়লেন। প্রথমবার ফেল করায় দ্বিতীয়বার পাশ করতে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো জ্যান্ত লোককে পদত্যাগ করালেন। এরপর ছাপ্পা দিয়ে ভোটে জিতে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।’

বন্ধ করুন