বাঁকুড়ার ওন্দায় সৌমিত্র খাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘরের লক্ষ্মী রাখতে পারে না’ মন্তব্যের জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পালটা আক্রমণ করে বললেন, ‘সৌমিত্র খাঁ ঘরের লক্ষ্মীকে চোর – ডাকাত বানায়নি।’
এদিন শুভেন্দুবাবু যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সৌমিত্র খাঁ তাঁর বাড়ির লক্ষ্মীকে রাখতে পারেনি। কিন্তু ভারতীয় আইনে সহমতির ভিত্তিতে তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদ করেছে। আর আপনি কী করেছেন ঘরের লক্ষ্মীর সঙ্গে? (একটি ব্যাঙ্ক চেকের প্রতিলিপি দেখিয়ে) এটা কার চেক? অনুপ মাঝি - লালার গরুপাচারের টাকা কার অ্যাকাউন্টে ঢুকত? এই চেক মেনকা নারুলার। বাড়ির লক্ষ্মীকে চোর বানিয়েছেন আপনি’।
একটু থেমে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আপনার শ্যালিকার নাম মেনকা গম্ভীর। তাঁকে ঘন ঘন ইডি সিবিআই ডাকে কেন? তাঁর বরের নাম অঙ্কুশ আরোরা, তাঁর বাবার নাম পবন আরোরা। বাঁকুড়ার সব বালি ঘাট সে চালায় কেন? বড় বড় কথা! কাচের ঘরে বসে ঢিল মারবেন না’।
সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘তার পর তো লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। নিজে তো যাবেন, বাবা - মাকেও জড়িয়ে দিয়ে গেছেন। কয়লা ভাইপো ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে দাঁড়ানোর আগে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করে। বাবা - মাকে ডিরেক্টরের পদে বসায়। ২০১৫ – ১৬, ২০১৬ – ১৭ সালে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে কয়লার ৪ কোটি টাকা ঢুকেছে। বাবা - মা, বউ, শ্যালিকা সবাইকে যাওয়ার রাস্তা করে দিয়ে গেছে। ইনি জ্ঞান দিচ্ছেন সৌমিত্র খাঁকে। সৌমিত্র খাঁ ঘরের লক্ষ্মীকে চোর – ডাকাত বানায়নি। তাকে দিয়ে তোলা তোলায়নি। তোলাবাজি করায়নি। আপনি আপনার বউকে দিয়ে কয়লার টাকা তুলিয়েছেন’।
গত ১৩ এপ্রিল ওন্দায় এক জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে আক্রমণ করে বলেন, ‘আমাদের দলের কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে নাম উঠলেই আমরা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়াই। আর দুর্নীতিগ্রস্তরা বিজেপির সম্পদ। আপনাদের সম্পদ সৌমিত্র খাঁ, যে বালি মামলায় অভিযুক্ত। এই যে এসএসসি। সুজাতা আরও ভালো বলতে পারবে। ওর বাড়ির একটা লোককেও ছাড়েনি। ঘরের লক্ষ্মী ধরে রাখতে পারেনি। সুজাতা চলে এসেছে। ওরা আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কটাক্ষ করে। ’ জবাবে সৌমিত্র বলেন, ‘আমার এমন ঘরের লক্ষ্মী চাই না যাঁরা কয়লার টাকা খায়’।