নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে নাম নেই শেখ সুফিয়ানের। তবে এই শেখ সুফিয়ানকেই এবার নিশানা করলেন রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েই শুভেন্দু জানান, 'দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় ১১টা গুণ্ডাকে জেলে ঢুকিয়েছি। এবার জাহাজ ঘরের মালিক-সহ ১১ জনকে জেলে ঢোকাব।'
বুধবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে আসেন শুভেন্দু। সেখানেই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। একইসঙ্গে দেবব্রতের মৃত্যুকেও মৌলবাদী আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই ‘জাহাজ ঘর’–এর মালিককে জেলে ঢোকানোর প্রসঙ্গ টেনে আনেন শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, ৭ বছর আগে নন্দীগ্রামের তেখালিতে যখন সভা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন জহুরি মোড়ের কাছে একটি বসতবাড়ি দেখে কার্যত অবাক হয়ে যান তিনি। তৃণমূল নেত্রী জানতে পেরেছিলেন, ওই বাড়ি আসলে শেখ সুফিয়ানের। এরপরই তিনি বলে ফেলেছিলেন, শেখ সুফিয়ান ওই বাড়ি না বেচলে ওকে দল ছাড়তে হবে। তবে পরবর্তীকালে দেখা যায়, ওই বাড়ি বিক্রি করেননি সুফিয়ান। আর তিনিও তৃণমূলে রয়ে গিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিফ ইলেকশন এজেন্ট করা হয়েছিল শেখ সুফিয়ানকে।
যদিও এই প্রসঙ্গে সুফিয়ান পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুকে। তিনি জানান, ‘ওকে জেলে যেতে হবে। ত্রিপল চুরির মামলা হাইকোর্টে গিয়েছে। আগামিদিনে আরও ধাপ্পাবাজ ধরা পড়বে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, শুভেন্দু রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছেন। নন্দীগ্রাম নিয়ে খেলা করছেন। আমরা নির্দোষ। মহালয়ার দিন শুভেন্দু বলছেন, ১১ জনকে গ্রেফতার করা হবে, হয়েছে। যাঁরা জেলে গিয়েছেন, তাঁরা মাথা উঁচু করে ফিরবেন। তাঁরাও নির্দোষ প্রমাণিত হবে।’