বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন, রাজ্যপালকে পরামর্শ শুভেন্দুর

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন, রাজ্যপালকে পরামর্শ শুভেন্দুর

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

শুভেন্দুবাবু বলেন, সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়ার ফলে রাজ্যপাল যা করছেন, তা আইন মেনেই করছেন। তাঁকে দেওয়া ক্ষমতা অনুসারেই করছেন।

ব্রাত্য বসুর আক্রমণের পালটা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।

সোমবার শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মহামান্য রাজ্যপাল যা করেছেন আইন মেনেই করেছেন। এরা বেআইনি করেছিল বলে কোর্টে হেরেছে। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এরা হাইকোর্টে গেছিল, হেরেছে। সুপ্রিম কোর্টে গেছিল। সুপ্রিম কোর্টও কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। সুপ্রিম কোর্ট মামলা গ্রহণ করেছে। শুনানি হবে বলে জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়ার ফলে রাজ্যপাল যা করছেন, তা আইন মেনেই করছেন। তাঁকে দেওয়া ক্ষমতা অনুসারেই করছেন’।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শুভেন্দুবাবুর আবেদন, ‘মাননীয় শুভ্রকমলবাবু একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজ্ঞ ও বিচারপতি। ওনাকে বলব, আইন অনুসারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। এই উৎশৃঙ্খল হার্মাদদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বের করার ব্যবস্থা করুন’। সঙ্গে রাজ্যপালকে তাঁর পরামর্শ, ‘রাজ্যপাল মহোদয়কে বলব, আপনার হাতে যথেষ্ট আইন আছে। প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন। বিশ্বভারতীতে যেমন আছে, তেমন ভাবে CISF মোতায়েন করে এই উৎশৃঙ্খলাতে ৬ মাসের জন্য টাইট দিয়ে দিন, ৫০ বছর সব ঠিক থাকবে। একবার আইন মেনে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে’।

সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ না করে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করায় রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালকে জেমস বন্ড থেকে গোপাল ভাঁড় কিছুই বলতে বাকি রাখেননি তিনি।

 

বন্ধ করুন