এপার বাংলার পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও দেবীর আরাধনা চলছে। তবে উত্সবের এই মরশুমে আক্রান্ত সেদেশের সংখ্যালঘুরা। সেদেশের বহু পুজো মণ্ডপে দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিমা ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে এপার বাংলার রানৈতিক পরিসর তপ্ত হয়ে উঠেছে। একদিকে যেখানে এই ঘটনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তেমনই প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই নিয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ টুইট করে লেখেন, 'বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর উপর আঘাত ও অশান্তির গুরুতর অভিযোগ আসছে। এটা উদ্বেগের। অভিযোগের তদন্ত হোক। ঘটনাক্রম সত্যি হলে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা নিক। ভারত সরকার অবিলম্বে কথা বলুন। আমরা ভারতে যেমন সংখ্যালঘু সুরক্ষার পক্ষে, তেমনই বাংলাদেশেও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুনিশ্চিত চাই।'
জানা গিয়েছে, হামলাগুলোর বেশিরভাগই বাংলাদেশের পূর্বপ্রান্তে ত্রিপুরা লাগোয়া কুমিল্লা জেলায় ঘটেছে। বাংলাদেশি এক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি পুজো মণ্ডপে কোরআন শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়ায়। এরপর মণ্ডপে ভাঙচুরের এই সহিংসতা শুরু হয়। বাংলাদেশি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে আসে যাতে দেখা যায় দুর্গা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব প্রতিমা ভাঙার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুও হয়ে থাকতে পারে। এদিকে ঘটনায় জড়িতদের রেহাই দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে শেখ হাসিনা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।