নন্দীগ্রাম, কাঁথি, হলদিয়া, তমকুল— পুরো পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে ব্যানারে ব্যানেরে ছয়লাম শুভেন্দু অধিকারীর বার্তা। কোথাও বিশাল বড় ব্যানারে লেখা, ‘লড়াইয়ের মাঠে দেখা হবে।’ কোথাও আবার লেখা, ‘আমরা চলি সমুখ পানে, কে আমাদের বাঁধবে? রইল যারা পিছুর টানে, কাঁদবে তারা কাঁদবে।’
এবার শুভেন্দু তাঁর প্রভাব সরাসরি ফেললেন পশ্চিম মেদিনীপুরে। কারও নাম না করে এদিন তিনি ঘাটালের এক অনুষ্ঠানে বললেন, ‘দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।’ হাসি আর করতালিতে ভেসে গেলেন ঘাটালবাসী।
বৃহস্পতিবার ঘাটাল শহরের বিদ্যাসাগর স্কুলের খেলার মাঠে এক বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর। আর সেখানে তাঁর বার্তায় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরকে মিলিয়ে উস্কে দিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুরের আবেগ। মঞ্চ থেকেই খুব সহজে মানুষের কাছে গিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘আমি তোমাদেরই লোক।’ একইসঙ্গে রাজ্যে পরিবর্তনে অন্যতম আতুঁড়ঘর নন্দীগ্রামকে মিলিয়ে দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার ঘাটালের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘মাথা নত করেনি মেদিনীপুর, নন্দীগ্রামের মানুষ। আপনাদের শুভেন্দু যখন ছাত্র ছিল তখনও আপনাদের পাশে ছিল, আজ আছে, ভবিষ্যতেও আপনাদের সঙ্গে থাকবে।’
শুভেন্দু সভায় উপস্থিত কয়েকশো মানুষের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের আশীর্বাদ, দোয়া এই গ্রামের ছেলেটার ওপর আছে তো? পান্তা–খাওয়া গামছা–পরা গ্রামের লোক আমরা। আমরা এগোব। অন্যরা দেখবে আর কাঁদবে। ট্রাকগুলোর পেছনে যেমন লেখা থাকে— দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।’