বিনামূল্যে রাজ্যবাসীকে করোনা টিকাকরণ দেওয়া হবে বলে চিঠি লিখে জানাতে চেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠি তিনি লিখেছিলেন জেলা এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে। কিন্তু যেহেতু সামনে বিধানসভা নির্বাচন তাই সেটা নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে দিল বিজেপি। দিলীপ ঘোষ, অমিত মালব্য থেকে শুরু করে এবার নয়া সংযোজন অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, রাজ্যের সমস্ত মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে চায় সরকার। আগে পাবেন প্রথমসারির করোনা যোদ্ধারা। এসপি ও স্বাস্থ্যকর্তাদের লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে তাঁকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন ৩০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবেন। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবেন। আবার না কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম চুরি করেন মুখ্যমন্ত্রী। আমার আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রী এর নাম টিকাশ্রী না দিয়ে দেন!’
এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলতে থাকেন, ‘ব্যালটের বাণ্ডিল বদলে জোড়াফুল করত। আমি তৃণমূলে ছিলাম, জানি কীভাবে সব হত। জেলা থেকে তোলার টাকা পৌঁছত কলকাতায় আর তোলাবাজ ভাইপোর দল চাকরি দিয়েছে। কয়েকদিন পর মিথ্যাশ্রী, কুত্সাশ্রী করতে আসবেন একজন। কৃষক নিধি সম্মান থেকে কেন বঞ্চিত বাংলার চাষিরা? বিজেপি এলে আয়ুষ্মান ভারত চালু হবে বাংলায়। বিজেপি জিতবেই বাংলায়।’ শুভেন্দু যখন এই কথা বলছেন তখন ঠিক তার আগে ঝাড়গ্রামের বিজেপি সভাপতির পরিবার স্বাস্থ্যসাথী ক্যাম্পে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন। যা চরম অস্বস্তি বিজেপি শিবিরে।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগে কাটোয়ায় সভা মঞ্চ থেকে জেপি নড্ডা ঘোষণা করেন, ২৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি রাজ্যে কৃষক ভোজনের আয়োজন করা হবে। তিনি বলেন, ‘ওই সময় ৪০ হাজার গ্রাম সভায় কৃষকদের সংগঠিত করা হবে। কৃষকদের বাজেট ছয়গুণ বাড়িয়েছে মোদী সরকার। বাংলায় জলের অভাব নেই, তবুও সেচ হয় এমন জমি কম। রাজ্য সরকারের গড়ে আমরাই কৃষক সম্মান নিধি চালু করব। কৃষিতে রোজগারের ক্ষেত্রে দেশে ২৪ নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ।’