একদা ভাল সম্পর্ক ছিল কেষ্টর সঙ্গে। কিন্তু দলবদলের পর আর সেই মধুর সম্পর্ক নেই কেষ্টর সঙ্গে। তার উপর কেষ্ট এখন সিবিআই হেফাজতে। এবার এই কেষ্টকেই বিপদের দিনে আক্রমণ করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে বীরভূমের ছোট মুখ্যমন্ত্রী থেকে এক হাজার কোটি টাকার মালিক বলেও সুর চড়িয়েছেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? সদ্য ভোলে ব্যোম চালকল থেকে উদ্ধার হয়েছে নানা নথি–সহ পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বীরভূমের ছোট মুখ্যমন্ত্রী অনুব্রত মণ্ডল এক হাজার কোটি টাকার মালিক। গাঁজা–সহ অন্যান্য মিথ্যে মামলায় শুধুমাত্র বিরোধীদেরই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসেরও অনেক নেতা যাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী তাঁদেরও দিনের পর দিন জেলে বন্দি রেখে পচানো হচ্ছে।’ মঙ্গলকোটের জেলা পরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরীর উদাহরণ দেন শুভেন্দু অধিকারী।
মুখ্যমন্ত্রীকে কী আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু? বীরভূমের পাশাপাশি বর্ধমানের তিনটি থানা আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোট এলাকাতেও অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে পুলিশ বিরোধীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে জেলার এসপি, ডিএম, ওসি, আইসি’দের নির্দেশ দেন অনুব্রত মণ্ডলের কথা শুনে চলতে তখন বোঝাই যায় পুলিশ–প্রশাসনকে দলতন্ত্রে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুব্রত মণ্ডলের একের পর এক কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে আসার পরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রকাশ্যে বলছেন কেষ্ট কী করেছে? ওকে গ্রেফতার করা হলো কেন? তা থেকেই স্পষ্ট দুর্নীতিকে সমর্থন করছেন মুখ্যমন্ত্রী।’
আর কী জানা যাচ্ছে? নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে হাজির হন শুভেন্দু। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, ‘তাঁর বোলপুরের রাইস মিলে দামি গাড়ির মেলা দেখে মনে হল রাষ্ট্রপতিরও এত গাড়ি নেই। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রশ্রয়ে হুমকি, তোলাবাজি, ভয় দেখিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে। কয়লা কাণ্ড থেকে গরু পাচার–সহ নানা দুর্নীতি, কেলেঙ্কারির সঙ্গে যারাই যুক্ত তারা কেউই ছাড় পাবে না।’