গ্রামের গরিব মানুষরা একশো দিনের কাজ করে টাকা পাননি। তাই সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ গ্রামবাসী। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। জয়নগরে তিনি এসেছিলেন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই একদিকে দলীয় সংগঠন অন্যদিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে সাধারণ মানুষজনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। আর তকমা দিয়ে দেন, তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতী। এবার এই ইস্যুতে সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? সুকান্ত মজুমদার বিক্ষোভের মুখে পড়া নিয়ে আজ, রবিবার সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। হামলা করা ও গুন্ডামি করা ছাড়া ওদের আর দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই। সন্ত্রাসই ওদের একমাত্র পথ। সুকান্ত মজুমদার একজন সর্বভারতীয় দলের রাজ্য সভাপতি। তাছাড়া তিনি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তাপ্রাপ্ত একজন সাংসদ। তাঁর গাড়িতে হামলার ঘটনা প্রমাণ করে ভাইপো এবং পিসি পরিচালিত দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা শওকত মোল্লা, জাহাঙ্গীরদের মতো গুন্ডাদের হাতে চলে গিয়েছে।’
ঠিক কী ঘটেছিল সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জয়নগর থেকে ফেরার পথে কালো পতাকা দেখান সাধারণ মানুষজন। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরের বকুলতলা থানার অন্তর্গত নতুনহাট বাজার এলাকায়। ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গাড়ি ঘিরে তা করা হয়। এই ঘটনার পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আজকে আমাকে মারতে এসেছিল। সুকান্ত মজুমদারকে মেরে ফেললে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে না।’
আর কী বললেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক? এই ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘হটুগঞ্জের ঘটনা এবং সুকান্ত মজুমদারের ওপর হামলার ঘটনা ফের প্রমাণ করল তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা জানানোর কোনও ভাষা নেই। অবিলম্বে এই ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের বলব রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে।’