বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > শুভেন্দু গড়ে ব্যাপক ভাঙন, কাঁথির প্রাক্তন কাউন্সিলর–সহ পাঁচ নেতা তৃণমূলে

শুভেন্দু গড়ে ব্যাপক ভাঙন, কাঁথির প্রাক্তন কাউন্সিলর–সহ পাঁচ নেতা তৃণমূলে

কাঁথির বিজেপিতে ভাঙন

কিন্তু এক বছর ঘুরতেই আবার ব্যাক টু দি প্যাভেলিয়ন। পৌরসভা নির্বাচনের আগেই কাঁথির বিজেপিতে ভাঙন ধরে যাওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

এবার সরাসরি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গড়ে ভাঙন ধরল। পুরসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ের কাউন্সিলররা ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন। এঁরা প্রত্যেকেই শুভেন্দুর হাত ধরে যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু এক বছর ঘুরতেই আবার ব্যাক টু দি প্যাভেলিয়ন। পৌরসভা নির্বাচনের আগেই কাঁথির বিজেপিতে ভাঙন ধরে যাওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে পৌরসভা নির্বাচন হবে আগামী ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি। এই নির্বাচন হবে অধিকারীদের গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌরসভা, তমলুক, এগরা পৌরসভায়। তার আগেই এই ভাঙন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। একবছরে বিজেপিতে মোহভঙ্গ এবং তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরা গেরুয়া শিবিরের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ওঁর ছোট ভাই কাঁথি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী পরিচালিত পুরো কাউন্সিলরদের বোর্ডই বিজেপিতে যোগদান করেন। কাঁথির ময়দানে বিজেপির যোগদান মেলায় পদ্মফুল হাতে তুলে নেন তাঁরা। এবার তাঁরা ফিরে এলেন মোহভঙ্গ হওয়ায়।

কারা ফিরলেন বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে?‌ আজ, বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন কাঁথি পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর–সহ পাঁচ নেতা। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন অতনু গিরি, সোনা বেরা। আজ জোড়াফুল পতাকা হাতে তুলে নেবেন বাকি তিনজন—উত্তম মহাপাত্র, কমলা বেরা, সত্যেন জানা। ইতিমধ্যে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপিতে কাজ করার পরিবেশ নেই। শুধুই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চলছে। ভ্রান্ত নীতিতে দলের আদর্শ বিচ্যুত হয়েছে।

এই ভাঙনের বিষয়ে সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা নিজেদের আদর্শ নিয়েই এসেছিলেন। নিজেদের স্বার্থ মেটেনি, তাই চলে যাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু কী স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়। এখানে সম্মানের সঙ্গেই কাজ করেছিলেন তাঁরা।’‌ এই ভাঙনে প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করেন সৌমেন্দু।

বন্ধ করুন