রাজ্য–রাজনীতিতে এখন একটা বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তা হল—দিদি বড় না দাদা বড়? কারণ যাঁদের রাজনৈতিক জীবনে শেষ কথা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তাঁরা এখন কী করবেন তা নিয়ে দোটানা তৈরি হয়েছে। দলের দিকে অনাস্থার আঙুল তুলে সরকারি পদ, মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিদ্রোহ শুরু করতেই মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা শুভেন্দুর অনুগামী পড়েছেন দোটানায়। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁরাও বিজেপিতে যাবেন কিনা তা নিয়ে দোটানা তৈরি হয়েছে।
কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে ফিরবেন কিনা তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা তৃণমূলের এক নেতা জানাচ্ছেন, ‘সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় আর যাইহোক বিজেপি করে যে রাজনীতিতে টিকে থাকা যাবে না, তা স্পষ্ট। এই অবস্থায় শুভেন্দু বিজেপিতে গেলে তাঁরা কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না দাদার অনুগামীরা!’
সূত্রের খবর, দাদার অনুগামী বলে পরিচিত অনেক তৃণমূল কর্মীই ফের পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরে যেতে পারেন, সেই সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের নেতারাও তা মেনে নিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, এখন অনেকেই আমাদের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ তৈরি করছেন। ছ’মাস আগেও যাঁদের সঙ্গে দেখা হলে ফুটপাত বদল করতেন, তারা এখন ফোন করছেন। সুতরাং কংগ্রেস লাভবান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সবার তো বিজেপিতে জায়গা হবে না।
জানা গিয়েছে, শুভেন্দু দলে না থাকলে তাঁদের মাথার ওপরেও কোনও ছায়া থাকবে না। তাই তৃণমূলে কোণঠাসা হয়ে পড়ার ভয় রয়েছে দাদা–অনুগামীদের। এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস। জলঙ্গির এক বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরাও চাইছি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরুক। আর এক নেত্রী জানান, শুভেন্দু বিজেপিতে গেলে এই জেলায় তাঁর অনুগামীদের বড় একটা অংশ যে কংগ্রেসে আসবে। এটা নিশ্চিত।