তিনি কী এখন তৃণমূলের পোস্টার বয়? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ বেশ কিছুদিন ধরে তাঁকে সক্রিয় আন্দোলনে দেখা যাচ্ছে না। বরং দেখা যাচ্ছে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে। একসময় শুভেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্য বলা হতো। কিন্তু তিনি এখন আর শুধু নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্য নেই। কারণ এখন তিনি জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য। পুজোর আবহে বাংলায় যেদিকে দু’চোখ গিয়েছে জঙ্গলমহলে শুধু শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়িয়ে জঙ্গলমহলের প্রচার বিশেষভাবে নজরে কেড়েছে এই পোস্টার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গোটা ঝাড়গ্রাম শহর শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টারে–ফ্লেক্সে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পোস্টার দিয়েছে ‘দাদার অনুগামীরা’। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে বড় বড় অক্ষরে পরিচিত করা হয়েছে ‘জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য' নামে। তা দেখে তৃণমূলের চক্ষু চড়কগাছ। তাহলে কী জঙ্গলমহলের দখল না পাওয়াতেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়েছে? উঠছে প্রশ্ন। জঙ্গলমহলের রাস্তাঘাটের দখল নিয়েছে শুভেন্দুর পোস্টারে। এই পোস্টার ছড়িয়ে পড়া কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটা বার্তা দেওয়া? এখন এইসব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীরা দীর্ঘদিন ধরেই দলহীন জনসংযোগ চালাচ্ছেন। পুজোর শুভেচ্ছা বার্তাতেও শুভেন্দুকে দলহীন হিসেবে উপস্থাপনা করা হয়েছে। এতদিন শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি–সহ শারদোৎসবের সরকারি ও দলীয় শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া হতো। এবার সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর ছবিই রয়েছে শুধু। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম–ছবি কিছুই নেই।
জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্যের বয়ানে লেখা রয়েছে— শারদীয়া, লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি এবং ছটপুজো উপলক্ষ্যে জানাই শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন। তলায় লেখা– জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অনুগামীরা ব্যাখ্যা করেছেন, আমাদের দাদা পরীক্ষিত জননেতা, জঙ্গলমহলবাসীর পরমাত্মীয়। তাই এই ধরনের শুভেচ্ছাবার্তা।