সিঙ্গুরের ধর্না মঞ্চ থেকে প্রতিবাদ ও হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু করল বিজেপি। একদিকে সুকান্ত মজুমদার নবান্ন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট দায়িত্বটা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দিল। এখন সেনা নামাক, আধা সামরিক বাহিনী নামাক আর সিভিক ভলান্টিয়ার নামাক, অবাধ করানোর দায়িত্ব ওদের। করতে পারবে বলে আমাদের ভরসা নেই। ভোট লুঠ হলে রাজ্যজুড়ে প্রতিক্রিয়া হবে। কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।’ আজ কলকাতা হাইকোর্ট বিজেপির দাবিকে খারিজ করে দিয়ে পুলিশের উপরই আস্থা রেখেছে। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে এই প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামীকাল, শুক্রবার প্রচারের শেষদিন। তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেয়েছে বঙ্গ–বিজেপি। বিজেপি এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিল। কিন্তু তা আজ খারিজ হয়ে যায় এবং কলকাতা পুলিশের উপরই আস্থা রাখে আদালত। আর তাতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল, তাঁদের প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই এই নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করা হোক। কিন্তু আজ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বিজেপির যে চারজন প্রার্থী অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের অভিযোগের পরে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। সুতরাং এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। যদিও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছে বিজেপি। শুক্রবার মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে খবর।
এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ধাক্কা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তারপরেই সিঙ্গুরে বিজেপির ধর্না মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায়। রাজ্যজুড়ে প্রতিক্রিয়া হবে বলে তিনি যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নালিশ জানাতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা।