কাঁথির সভার পর আজ, বৃহস্পতিবার জনসভা করার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাও আবার তৃণমূল কংগ্রেসের খাসতালুক বর্ধমানে। কিন্তু সেই জনসভা করার অনুমতি মিলল না। আর পুলিশের অনুমতি না মেলায় তা বাতিল হয়ে গেল। আজ, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘির কলিগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সভা বাতিল হয়ে যাওয়ায় তুঙ্গে উঠেছে শাসক–বিরোধী তরজা। এবার অবশ্য আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে আসেননি তিনি।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে জনসংযোগে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেপি নড্ডা–অমিত শাহরা। তাতেই জেলায় জেলায় সভা করে রাজ্য সরকারের বদনাম করে বেড়াচ্ছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শাসকদল এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। শীর্ষ নেতৃত্ব জেলায় জেলায় উন্নয়নের ফিরিস্তি শোনাচ্ছেন। তবে এবার আর বর্ধমানে গিয়ে নিন্দা করা হল না নন্দীগ্রামের বিধায়কের বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? আজ, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘির কলিগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা করার কথা ছিল। যেখানে সভা করার কথা ছিল সেখানের মালিকের সম্মতি ছিল না। তাই এই জনসভা করার অনুমতি পুলিশ দেয়নি। শুভেন্দুর সভা বাতিল হয়ে যাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষারোপ করেছে বিজেপি। বিজেপির জেলার মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভা দেখে ভয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশকে দলদাসে পরিণত করে সভার অনুমতি বাতিল করে দিয়েছে।’ ফলে আজ হচ্ছে না শুভেন্দু জনসভা।
তৃণমূল কংগ্রেস কী বলছে? বিজেপির এই অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘যাদের জমি তারা সম্মতি দেয়নি। তাই পুলিশও অনুমতি দেয়নি। আর তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে নিয়ে রাজনীতি করে না। ওটা বিজেপির স্বভাব। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে বিজেপি।’