রামনগরে হচ্ছে শুভেন্দুর সভা। আর পোস্টার পড়ল হাওড়ায়। শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে ‘আমরা দাদার অনুগামী’দের পক্ষ থেকে পোস্টার পড়ল হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাট বাজার, স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পাশাপাশি মাকড়দহ এলাকাতেও এই পোস্টার পড়েছে। সুতরাং শুভেন্দু অধিকারীর ব্যাপ্তি পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আছে তা বোঝা যাচ্ছে। আসলে এটা বোঝাতেই এই পোস্টার ফেলা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেখানে দল যদি এগিয়ে না আসে তাহলে ক্ষতি দলেরই। এই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
স্থানীয় মানুষ নন্দীগ্রামের বিধায়কের সমর্থনে লাগানো পোস্টারগুলি দেখতে পান। তারপরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কোনও পোস্টারে রাজ্যের এই হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘বাংলার মুক্তি সূর্য’ হিসাবে সম্বোধন করা হয়েছে। আবার কোনও পোস্টারে ‘নব দিশারী’ রূপে তাঁকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ফ্লেক্সগুলিই ‘আমরা দাদার অনুগামী’দের পক্ষ থেকে লাগানো হয়েছে। তবে ঠিক কে বা কারা কখন এই ফ্লেক্সগুলি লাগিয়েছে তা জানা যায়নি। জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ–সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা সেখ মহম্মদ ইব্রাহিম(গোরা) বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে এটা বিজেপি’র পরিকল্পিত চক্রান্ত।’
শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ভাইফোঁটার সন্ধ্যেবেলায় কলকাতায় রাজ্যের শাসক দলের এক বর্ষীয়ান নেতা পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পুরো বিষয়টিই ঘটে একেবারে গোপনে। ওই বৈঠকে সেভাবে বরফ নাকি গলেনি! শুভেন্দুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার সেই বৈঠকে বর্ষীয়ান ওই সাংসদ প্রশ্ন করেন, দল ছাড়ার ভাবনা কেন আসছে? ঠিক কোন জায়গায় শুভেন্দুর ক্ষোভ তা জানার চেষ্টা করেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দল ছাড়ার ঠিক হবে না বলেও শুভেন্দুকে পরামর্শ দেন ওই সাংসদ। কিন্তু বৈঠকে শুভেন্দু প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।