
তমলুক পুরসভার কাউন্সিলরদের যোগ নিয়ে একযাত্রায় পৃথক ফল শুভেন্দুর
১ মিনিটে পড়ুন . Updated: 08 Jan 2021, 01:39 PM IST- একটা–দুটো বাদে, বাকিদের বিজেপিতে নেবেন না।
প্রথম দফায় কাঁথি পুরসভায় জোর ধাক্কা দিয়েছিলেন। সেই ধাক্কায় বিদায়ী পুরবোর্ডের ১৫ জন কাউন্সিলরকে বিজেপি’তে টেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু তমলুক পুরবোর্ডে থাকা তৃণমূলের কতজন বিদায়ী কাউন্সিলর দলবদল করতে পারেন, সেদিকে নজর ছিল সকলের। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের তেমন কাউকে দলবদল করতে দেখা যায়নি। উল্টে শুভেন্দু সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে দু’একজন বাদে বাকি কাউন্সিলরদের দলে না নেওয়ার বার্তা দিলেন। এখান থেকে দুটো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এক, তাহলে কী তিনি বুঝে গিয়েছেন তাঁর ডাকে আর কেউ আসবে না? দুই, নাকি এই বৃহৎ দলে বাকিদের জায়গা হবে না?
তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে বিজেপি’র তমলুক নগর মণ্ডলের আয়োজনে যোগদান ও জনসভায় হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি বলেন, ‘এই পুরসভা গত নির্বাচনে হেরে চলে যেত। আমি শেষ মুহূর্তে নেমে রক্ষা করে দিয়েছি অনেককে। স্বীকার করতে পারেন, নাও পারেন। আমি নবারুণবাবু, সুকান্তবাবুদের বলব এই বিদায়ী কাউন্সিলরদের, একটা–দুটো বাদে, বাকিদের বিজেপিতে নেবেন না।’ আবার এই মন্তব্য ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। বাকিরা কী দাদার অনুগামী নয়? এই ঝাড়াই–বাছাইয়ের কারণ কী?
এইসব প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিলেও ঘুরিয়ে শুভেন্দুবাবু যা বললেন, ‘এরা স্টলগুলি থেকে টাকা মেরেছে। কত লক্ষ টাকা এখনও অনাদায়ী, কোটি কোটি টাকা ব্যাঙ্কে ধারে, আমি সবার চরিত্র জানি। এঁরা নিজেদের ওয়ার্ডে ঠিকাদারি করেছে। তাই পুরসভায় পরিষেবা নেই।’ পাল্টা তমলুকের পুরপ্রশাসক তথা তৃণমূলের জেলা সহ–সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘ওঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আর তিনি বিদায়ী কাউন্সিলরদের নিয়ে কি বলছেন তা জানি না।’
শুভেন্দুর সঙ্গে সভায় ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া তমলুকের বিধায়ক অশোক দিন্দা, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, জেলা বিজেপি সভাপতি নবারুণ নায়েক, মহিলা মোর্চার রাজ্য নেত্রী অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। তাঁদের উপস্থিতিতে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন তমলুক শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্র, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দত্ত, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবকমল দাস, শহর তৃণমূলের সম্পাদক আনন্দ নায়েক–সহ তৃণমূল ও সিপিআইয়ের কয়েকজন নেতা–কর্মী।