এবার সরাসরি কোন্দল দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে। নীচুতলার ছবি এখ উপরতলায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গড়ায় যে রাজ্য সভাপতিকে ধমক খেতে হল বিরোধী দলনেতার কাছে। আর তাতে ঢোঁক গিললেন সুকান্ত মজুমদার। ময়না ও হলদিয়ায় সুকান্ত মজুমদার চারটি মণ্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী রে রে করে ওঠায় তা স্থগিত করে দিতে বাধ্য হল রাজ্য বিজেপি। এই চার মণ্ডল সভাপতির নাম পছন্দ হয়নি শুভেন্দুর এবং দুই বিধায়ক হলদিয়ার তাপসী মণ্ডল ও ময়নার অশোক দিন্দার।
ঠিক কী ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে? এই ঘোষণার পর শুভেন্দুকে বিশদে ক্ষোভ জানান, বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এবং অশোক দিন্দা। তখনই শুভেন্দু ফোন করেন সুকান্ত মজুমদারকে। আর এই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখতে ধমক দেন সুকান্তকে। তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থগিতের পথেই হাঁটেন সুকান্ত মজুমদার বলে সূত্রের খবর। আর এই নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তাহলে কে বড়?
কোথায়, কী ঘটেছিল? বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার ময়না উত্তর ও দক্ষিণ মণ্ডলের দুই সভাপতি যথাক্রমে মাধব বেরা এবং সুশান্ত মিদ্যার নাম ঘোষণা করা হয়। হলদিয়া নগর–৩ এবং সুতাহাটা–১ মণ্ডলের সভাপতি যথাক্রমে দেবাশিস দাশগুপ্ত ও সুরজিৎ মালাকারের নাম ঘোষণা করা হয়। সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশেই তা ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরেই আসে শুভেন্দু অধিকারীর ফোন। সেই ফোনের পর সুকান্ত মজুমদার তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে নির্দেশ দেন, গোটা বিষয়টি স্থগিত রাখতে।
উল্লেখ্য, এই মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা, সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে প্রতিটি জেলায় ঝামেলা দেখা গিয়েছে। এমনকী পদত্যাগ করতে দেকা গিয়েছে জেলার নেতাদের। কিন্তু এবার সরাসরি রাজ্য সভাপতিকে ধমক দিয়ে ঘোষণা করা সিদ্ধান্ত স্থগিত করিয়ে দেওয়া নজিরবিহীন ঘটনা। একাধিক নেতা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগের ঘটনাও ঘটেছিল। এবার এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এই নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি।