দুর্গাপুজোতেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কালো পতাকা দেখতে হল। মহাষ্টমীর রাতে বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তাঁকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার ইলিয়াস রোডে বিজেপি নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখনই তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে স্লোগান তোলা হয় বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছে আগরপাড়ায়? বিজেপি নেতার বাড়িতে শুভেন্দু যাওয়ার সময়েই সেখানে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তারপর সেই বাড়িতে প্রবেশের পর বাইরে বেশ কিছু যুবক কালো পতাকা নিয়ে ‘চোর’ স্লোগান দিতে থাকে। তাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান বিরোধী দলনেতা। তখন পুলিশকর্মীরা তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্লোগান তীব্রতর হতে থাকে বলে অভিযোগ বিজেপির।
আর কী জানা যাচ্ছে? সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়াও আরও একটি পুজো হয় সেখানে। সেটি হল— আগরপাড়া আঙ্গিক সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী এখানে আসার ফলে তাঁর সঙ্গে থাকা প্রায় ১০টি গাড়ি রাস্তার ওপরে পরপর দাঁড়িয়ে পড়ে। তার জেরে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তখন সেখান থেকে গাড়িগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িচালককে অনুরোধ করেছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। সেই অনুরোধ তো তাঁরা শোনেননি উলটে পুজো কমিটির কিছু সদস্য এবং পাড়ার যুবকদের মারধর করে বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তায় থাকা সেন্ট্রাল ফোর্স বলে অভিযোগ।
তারপর সেখানে কী ঘটল? এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার যুবকরা কালো পতাকা হাতে প্রতিবাদ দেখিয়ে মিছিল করে। এমনকী সাময়িক আগরপাড়া আঙ্গিক সার্বজনীন দুর্গোৎসব বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিক্ষুব্ধ পুজো উদ্যোক্তারা । তবে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন পানিহাটির বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষ। তিনি খবর দেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আবানূর হোসেন এবং খড়দহ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে। তাঁরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় । তখন আবার চালু হয় পুজো। যদিও শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেন, ‘এটাই ওদের কালচার। এটা ৬০০০০ টাকার অ্যাকশন।’