তিনি এখন রাজ্য–বিজেপির একটা বড় মুখ। রাজ্যেরও বড় নেতা। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে একটি নির্বাচনেও জিততে পারেনি বিজেপি। বরং একের পর এক নির্বাচনে শোচনীয় হার, সংগঠন ভেঙে পড়া, নেতা–কর্মীরা বসে যাওয়া, গোষ্ঠী কোন্দল এবং বিধায়ক–সাংসদদের দল ছেড়ে দেওয়া দেখা গিয়েছে। সেই ভাঙা সংগঠনকে চাঙ্গা করতে প্রবাস–বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। এবার কর্মীদের সঙ্গে বসে একসঙ্গে খাওয়া–দাওয়া করার পরিকল্পনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যে কর্মসূচির নাম ‘সহভোজ’।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটবে? এতদিন দেখা গিয়েছে, নির্বাচন এলেই রাজ্যে বিজেপির নয়াদিল্লির নেতারা আসেন। আর নানা বাড়িতে খেয়ে বেড়াতেন। এবার বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই আনাগোনা শুরু হয়েছে। বিজেপি কর্মসূচির নাম যাই দিক না কেন, আসলে এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য দলের নীচুতলার কর্মীদের উজ্জীবিত করা। রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া। তাই এবার শুভেন্দুর ‘সহভোজ’ কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, এই প্রবাস কর্মসূচিতে শাহ–নড্ডারা কখনও পৌঁছেছেন নকশালবাড়ির দলিত পরিবারে, কখনও বা বনগাঁর কোনও মতুয়া পরিবারে। এবার কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক, মিছিল বা জনসভার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী কর্মীদের সঙ্গে ‘সহভোজ’ করবেন। আর এই কর্মসূচির পরেও রাজ্যে বিজেপির সংগঠনকে কতটা উজ্জীবিত করা যায় তা দেখা হবে।
এখন কারা আসছেন রাজ্যে? সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এবারেও কেন্দ্রীয় নেতা–মন্ত্রীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। প্রবাস কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী, প্রতিমা ভৌমিক, কপিল মোরেশ্বর পাটিল, রামেশ্বর তেলি। এমনকী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীকেও নামানো হচ্ছে। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘পার্টি একটা গাইডলাইন করে দিয়েছে। অমিত শাহজিরা দলিত পরিবারে গিয়ে ভোজন করেছেন। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর কর্মসূচি করতে মোটরবাইক মিছিল করছেন। আমরা সবাই দলীয় কর্মসূচিই করছি।’