কাঁথি পুরসভার একাধিক দুর্নীতি নিয়ে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীকে শুক্রবার ১০ ঘণ্টা জেরা করেছে পুলিশ। এমনকী সোমবার আবার তাঁকে ডাকা হয়েছে। এই নিয়ে আঁতে ঘা লেগেছে দাদা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বারবার সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলেছেন। এমনকী কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে রাজ্যের নেতা–মন্ত্রীদের হেনস্তা করা হয়েছে। সেখানে সৌমেন্দুকে জেরা করতেই ফুঁসে উঠেছেন তিনি। আর আজ, শনিবার নন্দীগ্রামের মনিকাপুরে কড়া প্রতিক্রিয়া শুভেন্দু বলেন, ‘কিচ্ছু করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সুদে–আসলে শুভেন্দু অধিকারী ফিরিয়ে দেবে।’ পালটা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘বিরোধী দলনেতা এখন ভুলভাল বকছেন।’
ঠিক কী বলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক? একাধিক দুর্নীতি মামলায় সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাঁথি থানার পুলিশ। এই বিষয়ে শনিবার শুভেন্দু বলেন, ‘১০ ঘণ্টা কেন, ২০০ ঘণ্টাও রাখতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিচ্ছু করতে পারবেন না। ওরা বেআইনি কাজ করেছে। কোর্টে কেমন কানমলা খায় দেখবেন। আমি খুব শক্ত জিনিস। কোর্ট খুলতে দিন, কেমন মুখে আলকাতরা মাখাব দেখবেন। কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে এজি বলেছেন, ২ ঘণ্টার বেশি জেরা করা যাবে না। সেখানে ১০ ঘণ্টা ধরে থানায় রেখেছে।’
ঠিক কী বলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু? নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘ওঁর বাড়ির কোনও লোক স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিল নাকি? আমার বাড়ির বিপিন অধিকারী ব্রিটিশের জেলে আট বছর ছিল। আমরা ভয় করি না। ব্রিটিশের পুলিশকে অধিকারী পরিবার ভয় করেনি। ১৯৪৭ সালের আগে আমাদের তিনবার বাড়ি পুড়িয়েছে ব্রিটিশ পুলিশ। ব্রিটিশের পুলিশকে ভয় করিনি, আর এই এলিতেলি এদেরকে কে ভয় করে? কিচ্ছু করতে পারবে না।’
ঠিক কী বলেছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘রাজনৈতিক দৈন্য থেকেই উনি এমন মন্তব্য করেন। বরাবরই আমরা দেখেছি, উনি অত্যন্ত নিম্নরুচির ভাষা ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। এটাই ওঁর স্বভাব। ওঁর এমন মন্তব্যে কিছুই আসে যায় না। মানুষ ওঁদের সঙ্গে নেই। আদালত ওঁর বাড়ি নয় যে, ওঁর কথায় কেউ আলকাতরা মাখাতে বলবেন।’