বাড়ির সামনে জমায়েত নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে নিজের পক্ষে রায় পেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার আবার কলকাতা হাইকোর্টে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। কারণ হোয়াটসঅ্যাপে তিনি ১১০০ নোংরা মেসেজ পেয়েছেন বলে তাঁর দাবি। এই কারণে যাঁরা এমন মেসেজ পাঠিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে এবার আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘গেট ওয়েল সুন’ বার্তার নামে তাঁকে কুরুচিকর ভাষায় হোয়াটসঅ্যাপে ক্রমাগত বার্তা পাঠিয়ে বিব্রত করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা।
ঠিক কী বলছেন বিরোধী দলনেতা? এই কার্ড পাঠানোর নামে যা পেয়েছেন তা নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘গত তিনদিন ধরে আমার নম্বরে এসব পাঠানো হয়েছে। আমার নম্বর সবাই জানে। আমি বলেও দিই। আমি মোট ১১০০ নোংরা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পেয়েছি। এখনই সব বের করেছি। আমি এফআইআর করব ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরগুলির বিরুদ্ধে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে আমি সাপ্লিমেন্টারি হলফনামা দিয়ে জানাব এই ১১০০ হোয়াটসঅ্যাপ করে আমাকে নোংরা ভাষায় বিরক্ত করেছে। আমি মনে করি এটা সাইবার অপরাধের সামিল। এভাবে কাউকে অপমান করা যায় না।’
ঠিক কী ঘটেছে শুভেন্দুর সঙ্গে? শুভেন্দু অধিকারী অশালীন ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। আর সেটা অস্বীকার করেছেন। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে শুভেন্দু মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তাঁকে গেট ওয়েল সুন কার্ড ও গোলাপ পাঠাতে বাড়ির সামনে গিয়েছিল ছাত্র–যুব সংগঠনের সদস্যরা। পুলিশের হাতে সেটা দেওয়া হয়। কারণ বিরোধী দলনেতা তখন বাড়ি ছিলেন না। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলে আদালত জানিয়ে দেয়, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত করা যাবে না। বিকল্প পথ হিসাবে তখন হোয়াটসঅ্যাপকে বেছে নেওয়া হয়।
কেন বিরক্ত নন্দীগ্রামের বিধায়ক? এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টা, ৬টা থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত এমন হোয়াটসউ্যাপ পাঠানো চলেছে। কোনও মানুষকে কেউ এভাবে বিরক্ত করতে পারে না। এখনও পর্যন্ত আমি ১১০০ এমন মেসেজ পেয়েছি। আমার আইনজীবী এফআইআর করবেন। আমি আমার আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছি, আমার হয়ে এফআইআর করতে। পুলিশ কিছু করবে না আমি জানি। তাঁর নির্দেশে কয়লা ভাইপো সিন্ডিকেট এই কাজ করেছে।’