রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ দীর্ঘ দু’মাস ধরে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যায়নি। অথচ তিনি কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী মুখে বড় বড় দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন৷ কিন্তু তাঁর ভাই দুর্নীতির দায়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন৷ শাসকদলের এমন অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন দেখা দিয়েছে কাঁথি শহরে।
ঠিক কী ঘটেছে কাঁথিতে? সৌমেন্দু অধিকারী শুধু প্রাক্তন পুরপ্রধানই নন, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদেও তিনি আছেন। কিন্তু সদ্য বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে কলকাতা কিংবা জেলা কোথাও তাঁর দেখা মেলেনি। এমনকী জেলা পার্টির কর্মীদের সঙ্গেও তার বিশেষ কোনও যোগাযোগ নেই বলেই সূত্রের খবর৷ তিনি কোথায় আছেন? সেটাও দলের কর্মীরা জানেন না। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলল শাসক শিবির৷ যা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে অধিকারী পরিবার।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি শহর সভাপতি হরিসাধন দাস অধিকারী বলেন, ‘সৌমেন্দুবাবু দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কাঁথির মানুষের উন্নয়ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। একাধিক দুর্নীতিও করেছেন। পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে এখন আত্মগোপন করে রয়েছেন৷ যদি দুর্নীতি না করে থাকেন তাহলে লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? পাপ কোনওদিন চাপা থাকে না।’ পাল্টা সাফাই দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, ‘সৌমেন্দুবাবু অসুস্থ৷ বাইরে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন। পুলিশ মিথ্যা মামলা করেছে। ও কোথাও লুকিয়ে নেই৷’
আর কী জানা যাচ্ছে? দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান পদে ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর আমলে কাঁথি শহরে পথবাতি বসানো থেকে শুরু করে স্টল নির্মাণ নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ এমনকী সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। রাজ্য পুলিশ এই তদন্তে সক্রিয় হওয়ার পর থেকেই সৌমেন্দু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। যদিও এই নিয়ে অধিকারী পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷