ইদানিং তিনি দূরত্ব বাড়িয়েছেন। বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে জল্পনা তৈরি করছেন। আবার তাঁর অনুগামীরা দাদার নামে প্রচার করে চলেছেন। এখানে কোনও দলের উল্লেখ থাকছে না। এইসব নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে বিস্তর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, দাদা কে? যার সহজ উত্তর– তিনি তো দিদিরই সৈনিক। শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর অনুগামীদের দলহীন কর্মসূচি প্রসঙ্গে এভাবেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল। কারণ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তিনি। আবার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। এখনও তিনি দলে ও মন্ত্রিসভায় আছেন। তাই অন্য কিছু তকমা তাঁকে দেওয়া যাবে না। বরং দিদির সৈনিকই বলতে হবে।
যদিও শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীদের কার্যকলাপ নিয়ে কোনও টু–শব্দটি করা হয়নি তৃণমূলের পক্ষ থেকে। অথচ ক্রমশ দলহীন জনসংযোগের মাত্রা বাড়াচ্ছেন শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীরা। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরে রুটিন সাংবাদিক বৈঠকের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাশিস চৌধুরী। সেখানে উঠেছিল, শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীদের দলহীন কর্মসূচি প্রসঙ্গ। যার উত্তরে দেবাশিস বলেন, ‘আমি শুনেছি শুভেন্দু অধিকারী নিজেই ঘোষণা করেছিলেন— আমাদের দলের একজনই নেত্রী, আমি তাঁর সৈনিক। এরপর আর কী কথা থাকতে পারে।’
কিন্তু তাহলে হঠাৎ দলহীন কর্মসূচি কেন? দেবাশিস বলেন, ‘কৌশলে তৃণমূলের লড়াইয়ের অভিমুখটাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই চেষ্টা সফল হবে না। এই সরকার যাতে পুনরায় ফিরে আসতে না পারে তার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলের তৃণমূল স্তরের পরীক্ষিত রাজনৈতিক কর্মীরা খুব সহজেই ধরতে পারবে বিজেপি’র এই কৌশলটা।’
যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস বলেন, ‘তৃণমূল নিজে থেকেই ভেঙে যাবে। কাউকে কোনও কৌশল নিতে হবে না।’ এই পরিস্থিতিতে জেলাজুড়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও শুভেন্দু অধিকারী এইসব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই দলহীন জনসংযোগে কোন ফসল ঘরে ওঠে এখন সেটাই দেখার।