বাদ গেল স্বামী বিবেকানন্দের লেখা প্রবন্ধ, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা। পরীক্ষায় থাকবে না মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং দীনবন্ধু মিত্রের লেখা নাটকও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম কাটছাঁটের ঘোষণার পর সেই বিষয়টি সামনে এল।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে আগামী বছরের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় পাঠ্যক্রম কমিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরও একদফায় সিলেবাস কমানো হয়েছে। নয়া পাঠ্যক্রমে অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের পাঠ্যক্রম থেকে স্বামী বিবেকানন্দের প্রবন্ধ 'হাঙর শিকার', নজরুল ইসলামের কবিতা 'দীপান্তরের বন্দিনী' বাদ পড়েছে। এছাড়াও মধুসূদন দত্ত এবং দীনবন্ধু মিত্রের একটি করে নাটক একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় থাকছে না।
সংসদ সূত্রে খবর, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের উপর থেকে বাড়তি চাপ কমানোর জন্য সিলেবাস কমানো হয়েছে। বিশেষত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যদি ভাইফোঁটার পর ক্লাস শুরুও হয়, তাহলে পড়ুয়াদের হাতে বেশি থাকবে না। সবদিক বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতেই পাঠ্যক্রমে কাটছাঁট করা হয়েছে। তাঁদের পরামর্শ মেনে বাদ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের কয়েকটি অংশ। বাংলা প্রথম পত্রের ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি।
বাংলা প্রথম পত্রের কোন কোন অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে, দেখে নিন একনজরে -
১) প্রবন্ধ - 'হাঙর শিকার', স্বামী বিবেকানন্দ।
২) কবিতা - 'দীপান্তরের বন্দিনী', কাজী নজরুল ইসলাম।
৩) আন্তর্জাতিক গল্প - বিশাল ডানাওয়ালা এক থুত্থুরে বুড়ো, গ্যাব্রিয়াল মার্কেজ (অনুবাদ - মানবেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)।
৪) ভারতীয় কবিতা - শিক্ষার সার্কাস - আইয়াপ্পা পানিক্কার (অনুবাদ উৎপল কুমার বসু)য
৫) বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস - লৌকিক সাহিত্য - ছাড়া, ধাঁধা, প্রবাদ কথা।
৬) নাটক - মধুসূদন দত্ত এবং দীনবন্ধু মিত্র।