বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Swarupnagar: টাকা ফেরত দিতে না পারায় তৃণমূলি প্রধানের জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরলেন চাকরিপ্রার্থীরা

Swarupnagar: টাকা ফেরত দিতে না পারায় তৃণমূলি প্রধানের জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরলেন চাকরিপ্রার্থীরা

পাঁচিল দিয়ে জমি ঘেরার কাজ চলছে। 

বুধবার লোক জন নিয়ে এসে তাঁকে লিখে দেওয়া জমি পাঁচিল দিয়ে ঘেরেন তিনি ও অন্য চাকরিপ্রার্থীরা। ওই জমির পাশেই পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি। রাস্তার উলটো দিকে রয়েছে স্বরূপনগর থানার চারঘাট পুলিশ ফাঁড়ি। এদিন যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বা তাঁর স্বামীর দেখা পাওয়া যায়নি। বাড়িতে ঝুলছিল তালা।

টাকা ফের না পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের জমির দখল নিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রীতিমতো পাঁচিল দিয়ে জমি ঘিরলেন তাঁরা। বুধবার এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানা এলাকার চারঘাট বাজারে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার পর থেকে পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী বিশ্বাস বা তাঁর স্বামী নিখিলরঞ্জন বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

অভিযোগ চারঘাট পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী বিশ্বাসের স্বামী নিখিলরঞ্জনবাবু সরকারি স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৭ জনের কাছ থেকে ৫৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে টাকা লেনদেনের ভিডিয়ো। মাজাহার আলি নামে এক যুবকের দাবি তাঁর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নিয়েছেন নিখিলবাবু। চাকরি না হওয়ায় সেই টাকা ফেরত চান তিনি। টাকা ফেরাতে না পারায় নিজের বাড়ি সংলগ্ন ৬ শতক জমি তাঁকে লিখে দেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। এর পর থানায় গিয়ে মাজাহার আলির বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, জোর করে তাঁর কাছ থেকে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে জমি।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাজাহার আলি চলতি সপ্তাহে সিবিআইকে চিঠি লিখে নিখিলবাবুর কার্যকলাপ সম্পর্কে জানান। এর পর বুধবার লোক জন নিয়ে এসে তাঁকে লিখে দেওয়া জমি পাঁচিল দিয়ে ঘেরেন তিনি ও অন্য চাকরিপ্রার্থীরা। ওই জমির পাশেই পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি। রাস্তার উলটো দিকে রয়েছে স্বরূপনগর থানার চারঘাট পুলিশ ফাঁড়ি। এদিন যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বা তাঁর স্বামীর দেখা পাওয়া যায়নি। বাড়িতে ঝুলছিল তালা।

রাস্তার পাশে ওই জমিতে রয়েছে একটি বাণিজ্যিক ভবন। তাতে রয়েছে সাগর গ্রামীণ ব্যঙ্কের শাখা। এদিন প্রধানের জমি ঘেরা দেখতে চারঘাট বাজারে মানুষের ভিড় জমে যায়। চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে জমির দখল নিয়েছেন তাঁরা।

 

বন্ধ করুন