'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মানুষের ‘সেবা’ করতে চেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূলের এক নেতা এটাকেই ঢাল করে ভোটে জিততে চাইছেন। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। সোমবার ভাঙড়–২ ব্লকের চিলাতলা গ্রামে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল ব্লক প্রশাসন। তাতে অংশ নিয়েছিলেন ভোগালি–২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোদাসের হোসেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘যাঁরা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিচ্ছেন, তাঁদের সকলকেই আমাদের দলের ছত্রছায়ায় থাকতে হবে। আমাদের দল তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। অন্যের ছাতার তলায় গেলে তাঁদের কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হবে।’ অর্থাৎ কার্ড নিলে ভোট দিতে বাধ্য থাকবে।
মঞ্চ থেকে সরকারের সামাজিক প্রকল্প নিয়ে এই কথা যখন বলছিলেন তখন তাঁর পাশেই বসে ছিলেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সহ–সভাপতি আরাবুল ইসলাম প্রমুখ। কিন্তু তাঁরা কেউ এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে পালটা কিছু বলেননি। সুতরাং মোদাসের হোসেনের কথা কার্যত মিথ হয়ে গেল। পরে অবশ্য আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার সকলের জন্য স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দিচ্ছে। তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’
আরাবুল খানিকটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলেও তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি, বাম–সহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। সিপিএমের জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসাথীর বিষয়টিই ভাঁওতা। এই সব প্রধানরা ভাঁওতাবাজি করছে। ঠিক সময় মানুষই উত্তর দেবেন।’